বছরের শেষ দিনেও জারি রইলো শীতের রেকর্ড। চলতি ডিসেম্বর মাসের মাঝ থেকে প্রত্যেকদিনই রেকর্ড গড়ছিলো ঠান্ডা। বুধবার একধাক্কায় তা ১১ ঘরে পৌঁছে যায়। এদিনও ছিল মরশুমের সবচেয়ে শীতলতম দিন। পাশাপাশি, ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে ছিলো এদিন রাস্তাঘাট, ফলে যান চলাচলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
বুধবার ভোরে শহর কলকাতার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ১.৫ ডিগ্রি নেমে যায় এদিনের তাপমাত্রা। যা ছিল স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৩ ডিগ্রি কম। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের পথে কোনো বাধা না থাকায় বেশ অবাধেই তা প্রবেশ করছে। ফলে হাড় কাঁপানো পরিস্থিতি রাজ্যবাসীর।
কুয়াশার জেরে উত্তরবঙ্গের রাজ্যগুলিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কুয়াশার দরুন কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বিকেলের দিকে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যে নেমে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ঘন কুয়াশার কারণে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ সহ নদিয়া জেলায় জারি সতর্কতা। বছরের শেষে দার্জিলিঙের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে তুষারপাতের সম্ভাবনাও। দার্জিলিঙের পরেই সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণবঙ্গের শ্রীনিকেতন। বুধবার শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা প্রায় ৬.৫এ নেমে যায়।
আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে নতুন বছরে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার প্রভাব কতটা কমবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
Winter record continues
বছরের শেষেও জারি শীতের রেকর্ড
×
Comments :0