Starlink Polit Bureau

স্টারলিঙ্ককে ব্যবসার অনুমতির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা পলিট ব্যুরোর

জাতীয়

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল-কে আরও কঠিন অবস্থায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। লোকসান হচ্ছে কোষাগারেরও। গোটা প্রক্রিয়ায় কোনও স্বচ্ছতা নেই। স্টারলিঙ্ককে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ক্ষেত্রে ব্যবসার সুযোগ দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে দেশের ক্ষতি হবে।
শনিবার এই মর্মে বিবৃতি দিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। এলন মাস্কের এই সংস্থাকে ব্যবসার অনুমতি দেওয়ার সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেছে পার্টি। 
পলিট ব্যুরোর বক্তব্য, স্টারলিঙ্ক বিদেশের সংস্থা। দেশের স্পর্শকাতর পরিকাঠামো এই সংস্থার হাতে তুলে দিলে সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। পিছনের দরজা দিয়ে আমেরিকার সংস্থাগুলিকে দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সুরক্ষা সংযোগ ব্যবস্থায় ঢুকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো এই সিদ্ধান্তে।
পলিট ব্যুরোর বক্তব্য, ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি কক্ষপথের অংশ স্টারলিঙ্ককে একবার দিয়ে দেওয়ার পর আর ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। দেশের বিরল সম্পদ বিদেশী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সরকার যদি সত্যিই স্বনির্ভর পরিকাঠামো গড়তে আগ্রহী হতো তা’হলে ইসরো, টেলিযোগাযোগ দপ্তরের পরিষেবা নিতে পারত। তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। 
পলিট ব্যুরোর ক্ষোভ, সরকারের সঙ্গে স্টারলিঙ্কের কী বোঝাপড়া হয়েছে তা রহস্যে ঢাকা রয়েছে। জানা গিয়েছে ট্রাই মাত্র ৪ শতাংশ স্পেকট্রাম ব্যবহার মাশুল আদায় করছে। এককালীন কোনও অর্থও নেওয়অ হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কোষাগারের বিপুল ক্ষতি হলো। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, আম্বানির জিও এবং মিত্তল গোষ্ঠীর ভারী এয়ারটেলের সঙ্গে স্টারলিঙ্কের অংশীদারিত্ব দেশে টেলি যোগাযোগ ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব কায়েম করবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল-কে আরও কঠিন অবস্থায় ফেলে দেবে। বিএসএনএল-কে শেষ করে দেওয়ার আরেকটি প্রয়াস নিল সরকার। অথচ বিএসএনএল সবচেয়ে কম মাশুলে দেশের কোণায় কোণায় টেলি যোগাযোগ পরিষেবা দিয়ে চলেছে। সিপিআই(এম)’র দাবি, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে।

Comments :0

Login to leave a comment