Leopard Dooars

চিতাবাঘ খুঁজতে ডুয়ার্সের চা বাগানে ড্রোন ওড়ালো বন দপ্তর

জেলা

কলাবাড়ি চা বাগানে ড্রোন উড়িয়ে চিতাবাঘের গতিবিধি বোঝার চেষ্টা বন দপ্তরের দুই ডিএফও’র।।

ডুয়ার্সের কলাবাড়ি চা বাগানের বাসিন্দারা আতঙ্কিত বারবার চিতাবাঘের হানায়। সোমবার এলাকায় গিয়ে ড্রোন উড়িয়ে চিতাবাঘের গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করলেন বন দপ্তরের আধিকারিকরা। 
এদিন বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার গরুমারা ও জলপাইগুড়ি ডিভিশনের দুই ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন ও বিকাশ ভি যান ঘটনাস্থলে। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিক মহল্লাগুলির ধার বরাবর বাঁশের বেড়া তৈরির প্রস্তাব বাগান কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে। 
বিন্নাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার হিমাদ্রি দেবনাথ জানান, ওই বেড়া তৈরির কাজে শ্রমিকদের মজুরির দায়িত্ব নেবে বন দপ্তরই।
তাঁরা সম্প্রতি চিতাবাঘের হামলার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। স্থানীয় শ্রমিক ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। 
গত বুধবার সন্ধ্যায় বাগানের বাঁধ লাইনে পাঁচ বছরের এক শিশুকে বাড়ির উঠোন থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে একটি চিতাবাঘ। স্থানীয়দের তাড়ায় শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায় চিতাবাঘ। আহত শিশুটি এখনও চিকিৎসাধীন।
এদিন ড্রোন উড়িয়ে চিতাবাঘের উপস্থিতি ও গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করা হয়। 
উল্লেখ্য, এর আগেও কলাবাড়ি চা বাগানের হুলাশ লাইন ও সংলগ্ন খুটাবাড়ি এলাকায় একই কায়দায় শিশুদের আক্রমণ করে চিতাবাঘ। দু’টি ঘটনায় শিশু মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে। লাগাতার এই হামলায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন চা বাগান ও বনবস্তির মানুষ।
বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, বনাঞ্চলে প্রাকৃতিক খাদ্যের অভাব, খাদ্যশৃঙ্খলে বিঘ্ন ঘটছে। জঙ্গলের ভেতরে মানুষের চলাচল বৃদ্ধি এবং চা বাগান-লোকালয়ের সঙ্গে বনের সীমারেখা ঘেঁষে বসতি গড়ে ওঠার ফলেই চিতাবাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। সন্ধ্যার পর আলো-আঁধারিতে তারা সহজ শিকার হিসেবে মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের লক্ষ্য করছে।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়দেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর শিশুদের বাইরে না রাখা, বাড়ির চারপাশে আলো ও বেড়া নিশ্চিত করা এবং একা চলাচল এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বন দপ্তর। চা বাগান ও বনবস্তিতে সচেতনতা বাড়ানোই এখন সময়ের দাবি।

Comments :0

Login to leave a comment