পাঁচ হাজারের গণ্ডি টপকে গেল সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের বিচারে গোটা দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এ রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮ জন। তবে বেসরকারি মতে, আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি বহু হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন করোনা আক্রান্ত বহু রোগী। রাজ্য একজন সদ্যোজাত ও ১০ বছরের এক কিশোর করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। করোনা সংক্রমণে কলকাতায় একজনের মৃত্যুর পরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। রাজ্য সরকারের কোনও বিধি নিষেধও নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এখনও জারি হয়নি কোনও নির্দেশিকা, নেই কোনও তথ্যও।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৪৯৮ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৬৪ জন। করোনা সংক্রান্ত কারণে গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। তাদের মধ্যে দুইজন কেরালার বাসিন্দা। একজন পঞ্জাব ও একজন কর্নাটকের। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৭২৪ জন।
এদিন কেন্দ্র্রীয় স্থাস্থ্য মন্ত্রক যে তথ্য প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘন্টায় কেরালায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৯২ জন। সেরাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৭৯ জন। আক্রান্তের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে কেরালা। গুজরাটে আক্রান্তের সংখ্যা ৬১৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৭ জন। সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট। 
সংক্রমণের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ জন। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯২ জন। 
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী,মহারাষ্ট্রে ৫৪৮ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। নতুন করে গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২২ জন। রাজস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭ জন। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন। তামিলনাড়ুতে করোনা আক্রান্ত ২২১ জন। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮জন। উত্তর প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নুতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৭ জন।   
রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। তবুও রাজ্য সরকারের কোনও বিধি নিষেধও নেই। সেই কারণে রোগ ছড়িয়ে পড়ছে আরও বেশি করে। অন্যদিকে জানাও সম্ভব হচ্ছে না কোনও হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে করোনা আক্রান্তের জন্য কত বেড রয়েছে, কত বেড খালি রয়েছে ইত্যাদি। হাসপাতালে ভর্তি কোমর্বিডিটিজ রোগীদের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ করোনা আক্রান্ত কোমর্বিডিটিজ রোগীরা আশঙ্কাজনক বেশি। কেবল মাত্র ভিড় এড়িয়ে চলা এবং মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে ক্ষান্ত দিয়েছে কলকাতা পৌরসভা। করোন বৃদ্ধির কারণে সমস্ত রাজ্যকে অক্সিজেন, আইসোলেশন বেড, ভেন্টিলেটর এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের যোগান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে।