Education crisis

সঙ্কটে সাধারণের শিক্ষা, সবচেয়ে ক্ষতি শিশুদের

সম্পাদকীয় বিভাগ

Education crisis


বিদ্যুৎ রাজগুরু

ভেঙে ফেলা সহজ। নির্মাণ কঠিন। নির্মাণের সঙ্গে লেপটে থাকে মেহনতি মানুষের ঘাম। মানুষের রুচিবোধ ও সংস্কৃতি। যা সুন্দর সুস্থ সমাজ গঠনের আকর। যুগ যুগে লড়াই চলে ভাঙা আর গড়ার। এক পাড়ে ভাঙনের কাপালিক অন্য পাড়ে সৃষ্টির ভগীরথ। মতাদর্শের লড়াইয়ে ধারা চলে আবহমান কাল থেকে। 
বর্তমানে রবীন্দ্র -নজরুলের রাজ্যের দশাও করুণ। অথচ সাংস্কৃতিক চর্চা আর বুদ্ধিমত্তায় রাজ্যের একদা সুনাম ছিল। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী বা সুশীল সমাজের আজ হিরন্ময় নীরবতা দেখা যাচ্ছে, স্পিকটি নট। শিক্ষাব্যবস্থা নড়বড়ে হয়ে গেলে  সেখানেই গণতান্ত্রিক ভিত নড়বড়ে হয়ে যায়। তাই শাসক শিক্ষাকে টার্গেট করেছে। শিক্ষায় দুর্নীতির প্রভাব পড়ছে নিষ্পাপ শিশু মনেও। প্রায় দিন শোনা যাচ্ছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিলের কাহিনি। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর অনিয়ম আর দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের সর্বত্র  বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ভাঙনের মুখে। আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমগ্ন শিক্ষা দফতরের রথী-মহারথীরা। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমূলে উৎপাটিত করতে তৎপর দুর্নীতিগ্রস্তরা। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির সংবাদে ভরপুর। বালিচুরি, সোনাচুরি থেকে শুরু করে চাকরি চুরির সংবাদ পড়তে পড়তে বড় হচ্ছে এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। রাজ্যে কৃষির উন্নয়ন প্রয়োজন না শিল্পের- এমন বিতর্ক আজ হয় না। বরং দুর্নীতিগ্রস্ত অভিযুক্তরা ওডিশা জেলে থাকবেন না দিল্লি যাবেন এই চর্চাই এখন রাজ্যে চলছে। ইডি আর সিবিআই’র সঙ্গে নেতাদের লুকোচুরিও বেশ উপভোগ্য। কিন্তু তাতে আমআদমির কাঁচকলা। কিছু এসে যায় না। একটা গোটা প্রজন্ম আজ চরম সঙ্কটের মুখোমুখি। শিশু মনে সহজেই গেঁথে যাচ্ছে অকাজ কুকাজের খতিয়ান। এমনিতেই শৈশবের সংবেদনশীল মনন জগতে এই সময় বিকশিত হবার কথা সৃজনশীল ধীশক্তি। কিন্তু এখন আর অপাপবিদ্ধ শিশুর ঘুমের দেশে নেমে আসে না স্বপ্নের মমতাময়ী পরীরা। 

ব্যঙ্গমা–ব্যঙ্গমীরা আর শোনায় না মেঘবরণ কন্যার কাহিনি। শিশু মন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে রূপকথার সম্ভার। বরং শিশুদেরও মনোজগতে গেঁথে যাচ্ছে ফেরেববাজদের গল্প।

এমনিতেই রূপকথার জগৎ থেকে শিশুদের নির্বাসন দিয়ে নিক্ষেপ করছি দর্শনহীন বোধহীন এক ফাঁপা জগতে। ব্যধিগ্রস্ত সমাজের ভয়ঙ্কর জীবন দর্শন আমাদের জীবনকে আছন্ন করছে। সহজেই প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করে সবার আগে থাকবার মারাত্মক প্রবণতা শিশুদের সুকুমার  প্রবৃত্তিগুলিকে নষ্ট  করছে। তেমনি সহজে কাজ হাসিলের মতো অন্ধ গলির খোঁজে ঘুরছে এই প্রজন্ম। ফলত শিশু বেলার পারিপার্শ্বিক দুষিত সামাজিক পরিবেশ ভীষণভাবে তাদের প্রভাবিত করছে আমাদের অজান্তেই। 


বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে শিশু শিক্ষার বাণী শো-কেসে সাজিয়ে রাখার মতো ঘটনা। রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি আজ গ্রাস করতে চলছে সমাজকে। দুর্নীতিগ্রস্তরা পশ্চিমবঙ্গে বীরের মতো হাজত বাস করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যে অবধি চায়ের দোকান থেকে শপিংমলে সর্বত্র আলোচনার বিষয় শিক্ষা দফতরের দুর্নীতি। এই অব্যবস্থা এই প্রজন্মের কি মারাত্মক ক্ষতি করছে তা কী আর লক্ষ্মী ভাণ্ডার ও বিভিন্ন চটকদারির -শ্রীতে মগ্ন অভিভাবকরা উপলব্ধি করছেন? 
রাজ্যে প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে সারা দেশে সঙ্ঘ পরিবার দেশের সুমহান ঐতিহ্য ভেঙে দিচ্ছে অবৈজ্ঞানিক চিন্তা ভাবনা ছড়িয়ে। সংবাদে প্রকাশিত, জন্মের আগের থেকেই  গর্ভাবস্থায় হিন্দুত্ব শেখানোর জন্য অভিযান চালাবে আরএসএস’র নারী বাহিনী ‘সম্বরধিনি ন্যাস।’ তাদের দাবি, গর্ভাবস্থায় ডিএনএ পরিবর্তন করা যাবে। যার নাম ‘গর্ভ সংস্কার’। এ বিষয়ে তারা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কর্মশালাও করেছিল বলে খবর। এই অভিযানে ক্ষুব্ধ চিকিৎসক সমাজ। এই অবৈজ্ঞানিক চিন্তা ছড়ানোর বিরোধিতা করেছেন চিকিৎসক মহল। তাদের মতে সুস্থ শিশুর জন্মের জন্য প্রথম প্রয়োজন হলো পুষ্টি। গর্ভাবস্থায়  ডিএনএ পরিবর্তন করা যায় বিজ্ঞান এ কথা মানে না। এই ভাবে সমাজকে সূচিভেদ্য অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সঙ্ঘ পরিবার।  


১৯৭৭ সালের পর থেকে জনমুখী শিক্ষা নীতির দরুন গ্রাম শহরে গড়ে উঠেছিল সাধারণের বিদ্যালয় ব্যবস্থা। যে বিদ্যালয় ব্যবস্থায়  রয়েছে এক প্রাচীন ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। ইতিহাস ঐতিহ্য ভূগোলকে চুরমার করে দিয়ে বর্তমান রাজ্য সরকার শিক্ষার বুনিয়াদকে ধ্বংস করে ফেলেছে। শিক্ষায় গণতন্ত্রীকরণ ব্যবস্থার যে পরম্পরা ও  ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গে একসময় ছিল আজ তার সলিল সমাধি হয়েছে। নির্বাচিত পরিচালক সমিতিগুলিকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকরা আর তাদের পছন্দের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করে স্কুলে পাঠাতে পারেন না। 
সেখানেই আমদানি করা হয়েছে শিক্ষা থেকে শত যোজন দূরে  অবস্থিত রাজনৈতিক উচ্ছিষ্টদের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ভেঙে দিয়ে মনোনীত সদস্যদের দিয়ে চালানো হচ্ছে। নেই কোনও শিক্ষক প্রতিনিধি। যা বর্তমানে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এসময়ের তথা বিশ্বের নজিরবিহীন দুর্নীতির নজির গড়েছে এই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আসল আর নকলের ফারাক হড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আমজনতা। 


বিদ্যালয়গুলিতে শিখনমূলক কাজের চেয়ে শিক্ষা বহির্ভূত কাজই বেশি হয়। কখনো দেখা যায় পঠন-পাঠন বন্ধ করে দুয়ারে সরকারের মতো ভোট সর্বস্ব রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার। পাঠ্য বই থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া খাতায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বিজ্ঞাপন দেখেই চমকে যেতে হয়। যার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ নেই। অবৈজ্ঞানিক সিলেবাস ও শ্রেণি শিখনের দিনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবৈজ্ঞানিক ছুটির তালিকা তৈরি হচ্ছে স্কুলগুলিতে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত পাঠন-পাঠন। উত্তর-পশ্চিমবঙ্গে যখন আবহাওয়া মনোরম তখন সেখানে চলে অনির্দিষ্ট দিনের  গ্রীষ্মের ছুটি। পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য ছিল উত্তরোত্তর  মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি। এবছর যা থমকে গেছে। যে সংখ্যক নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল সেই সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় এবার বসেনি। অবশ্যই ভয়ের কারণে। গ্রাম ও শহরের বর্ধিষ্ণু এলাকায় যারা অধিকাংশ প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী। অনেক ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক ফি বছর রুটিরুজির সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। করোনার কারণে লক-ডাউন হবার দরুণ অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। এদিকে স্কুলের দরজা বন্ধ। স্কুলে চৌহদ্দিতে প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠন প্রায় বন্ধ। তাদের নেই  টিউশন পড়বার সামর্থ্য। লক-ডাউনে তারা স্কুলমুখো না হবার দরুন লেখাপড়ার অভ্যাস নষ্ট হয়ে গেছে। অনলাইন ক্লাসের কথা তাদের কাছে দিবা স্বপ্নের মতো।  এই সময়ে আমাদের অজান্তেই অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্কুল ছুট হচ্ছে। মাসে কয়েকদিন রেশন দোকানের মতো স্কুল খোলা হতো মিড ডে মিলের দ্রব্য সামগ্রী বণ্টনের জন্য। দেখা যায় সরকারি নিষেধ উপেক্ষা করে ছাত্র-ছাত্রীদের একটা অংশ স্কুলের গেটের সামনে ঘোরাঘুরি করেছে। তাদের মন টেকেনি বাড়িতে। কিন্তু স্কুলে ঢোকা তাদের যে বারণ। শিক্ষক সমাজও নিরুপায়। প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় শিখনে যুক্ত হয়ে অভিজ্ঞতায় দেখেছি অনেক শিক্ষার্থী তাদের নাম লিখতেও পারে না। তাই প্রথমিক বিদ্যালয়ের নড়বড়ে  ভিতের উপর দাঁড়িয়ে অবাধে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের নাম লিখতে না পারা ,পড়তে না পারা ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড় জমে। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই তারা যেন চোখ থাকতেও দৃষ্টিহীন। স্বাভাবিকভাবে পাঠ্য বিষয়ের গভীরে এরকম শ্রেণির ছাত্ররা ঢুকতে পারে না। আনন্দ পাঠের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়। পাঠ্যপুস্তক তাদের কাছে বোঝা হয়ে যায়। 


নিজের স্কুলের অভিজ্ঞতায় দেখেছি গ্রামীণ বাংলায় বহু ছাত্র-ছাত্রী রুটিরুজির সন্ধানে ভিন রাজ্যে নির্মাণ কাজের শ্রমিক হিসাবে কর্মরত থাকে। কেউবা দিনমজুরির কাজে যুক্ত। জীবন জীবিকা নির্বাহের কঠিন সংগ্রামে নেমে পড়তে বাধ্য হয়। এর জন্য দায়ী আর্থ-সামাজিক অবস্থা। সর্বজনীন শিক্ষাকে সফল করতে হলে এদের নিয়েও ভাবতে হবে। স্কুলের বাইরে এলাকা ভিত্তিক রিমেডিয়াল কোচিংয়ের মাধ্যমে তাদের কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অন্য রাজ্যের থেকে আমাদের রাজ্যে সাধারণের বিদ্যালয়ের যতই নেতিবাচক দিক থাকুক সাধারণ মানুষের এখনও ভরসাস্থল এমন বিদ্যালয়গুলি। এই বিদ্যালয়গুলিতে থেকেই প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছে নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাতে সন্দেহ নেই। সাক্ষরতা অভিযানের মতো বুনিয়াদি স্তরে রিডিং রাইটিং স্কিল সহ ন্যূনতম পড়ার অভ্যাস বজায় রাখতে সাক্ষরতার ঢঙে এখুনি অভিযান প্রয়োজন। আর তা না হলে সাধারণের বিদ্যালয় ব্যবস্থার সর্বনাশ ঘটবে। 
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার শিক্ষা বেসরকারি মালিকদের হাতে তুলে দিতে তৎপর। শিক্ষায় নয়া উদারনীতির হাত ধরে যে আক্রমণ শুরু হয়েছিল নয়ের দশকে বর্তমানে সেই রাক্ষস নখদাঁত বের করেছে। ২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইন রুপায়িত হয়েছিল তা  বাস্তবায়িত করবার কোনও রাজনৈতিক সদ্দিচ্ছা দেখায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। আর বর্তমান রাজ্য সরকার যার এক নম্বর দোসর সন্দেহ নেই। শিক্ষা ক্ষেত্রকে তাঁরা লুটের মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। বেসরকারিকরণ ও সাম্প্রদায়িকতার মিশেলে জাতীয় শিক্ষা নীতির যে নীল নকশা সঙ্ঘ পরিবারের মদতে রচিত হয়েছে তাকে নত মস্তকে মেনে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত সরকার। সংবাদে প্রকাশ, এই সিদ্ধান্তে যারপরনাই খুশি সঙ্ঘ পরিবার। কারণ এই সময়কালে রাজ্যের শিক্ষা  ব্যবস্থার দৈন্যদশার দরুন পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সঙ্ঘ পরিচালিত স্কুলের সংখ্যা এবং শিক্ষার্থী। 

শিক্ষার্থীদের সংখ্যার অপ্রতুলতা দেখিয়ে রাজ্যে প্রচুর স্কুলও বন্ধ করে দেবার তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় রাজ্যজুড়ে একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে যে ৩০ জন কম পড়ুয়া রয়েছে সেসব স্কুলগুলি তুলে দেওয়া হবে। দুর্ভাগ্যের বিষয় দুর্গম পার্বত্য ও বন বস্তির স্কুলগুলিতে এই অনুপাত এমনই কম থাকে। যেমন আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা অঞ্চলের স্কুলগুলির ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত। কারণ এই বক্সা পাহাড়ের ১৩টি গ্রামে ৫টি প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। সবকটি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সাধারণের ছেলেমেয়েরা পড়বে কোথায়? সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২৭০০ ফুট উচ্চতায় বিকল্প কোনও স্কুলও নেই। গত বছর সংবাদে প্রকাশিত রাজ্যের একটি অভ্যন্তরীণ নোট থেকে জানা গিয়েছে রাজ্যে পিপিপি মডেলের কথা। ঘরের কাছে বদলির আবদার রাখতে গিয়ে উৎকোচের মধ্যে দিয়ে অবৈজ্ঞানিক বদলি নীতির ফলে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে বিষয় শিক্ষকের অভাব দেখা যাচ্ছে। শহরের স্কুলে ভিড় বাড়ছে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের। এইভাবে সাধারণের বিদ্যালয়গুলিকে শুকিয়ে মারা হচ্ছে। আগামী দিনে রাজ্যের সাধারণের বিদ্যালয় ব্যবস্থার অশনি সংকেত সুচিন্তিত বিবেকমান মানুষকে ভাবায় বই কি। 

Comments :0

Login to leave a comment