দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরে কর্মী নিয়োগ নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড। স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়োগে বঞ্চিত করা হয়েছে। মন্দির নির্মানের প্রথম দিন থেকে ও উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রী বলে আসছিলেন, মন্দিরকে কেন্দ্র করে এলাকার সমস্ত মানুষের আর্থিক উন্নয়ন ঘটবে। সমস্ত কমিটি গঠন হলো। কিন্তু কর্মী নিয়োগের দেখা গেল বাইরের লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে স্থানীয় বেকারদের বিক্ষোভ দানা বাঁধে। এলাকাবাসী দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধালেন। সামাল দিতে হিমশিম খেলো পুলিশ।
দীঘায় জগন্নাথ মন্দির হলে আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে স্থানীয় মানুষ কাজ পাবে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেখা যাচ্ছে মন্দিরের যাবতীয় কাজ কর্মের জন্য বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে। ঠিকাদার সংস্থাগুলিও অন্য জায়গা থেকে লোক নিয়ে কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা শ্রমিকরা। তাঁদের কাজে নিয়োগের দাবি নিয়ে এদিন বিক্ষোভ চরমে উঠে। ওই এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রায় প্রত্যেক দিনই ঢল নামছে দর্শনার্থীদের। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার বেলার দিকে মন্দিরের সামনে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মন্দিরের যাবতীয় কাজ কর্মের জন্য বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে। ঠিকাদার সংস্থাগুলিও অন্য জায়গা থেকে লোক নিয়ে কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা শ্রমিকরা। ঘটনাস্থলে জগন্নাথ ধাম ফাঁড়ি ও দিঘা থানার পুলিশ রয়েছে। খবর পেয়ে এলাকায় আসেন   বিধায়ক ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অখিল গিরি। তিনি স্বীকার করেন স্থানীয় মানুষের কাজের প্রয়োজন। বাইরে থেকে লোকজন নিয়োগ হলে ক্ষোভ তো হবেই। 
দীঘা জগন্নাথ মন্দির প্রকল্পের সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন, এখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্ম সংস্থানের বিপুল পরিমাণ সুযোগ হবে। জগন্নাথ মন্দির দিঘার আর্থ সামাজির চেহারাটাই আমূল বদলে দিতে চলেছে বলে দাবি করেছেন ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য রাধারমন দাস। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যখন এখানে হাজার হাজার ভক্ত আসবেন তখন এই এলাকার আর্থ সামাজিক চেহারাটাই বদলে যাবে। এখানকার মানুষের লাভ হবে। হোটেল, পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের লাভ হবে। যাঁরা ফুল মালা বিক্রি করেন তাঁদেরও লাভ হবে। টাকাটা তো স্থানীয়দের বাড়িতেই যাবে।’’ কিন্তু এক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাজের সুযোগ হচ্ছে বটে, কিন্তু সবটাই বাইরের লোকেদের জন্য, স্থানীয় বাসিন্দাদের নয়। তারই প্রতিবাদে এদিন চলে বিক্ষোভ। এদিন পুলিশের আশ্বাসে অবশেষে বিক্ষোভ থামে। শুক্রবার এই বিষয়ে আলোচনায় হবে।