DYFI 20th State Conference

শুরু হলো ডিওয়াইএফআইয়ের ২০ তম রাজ্য সম্মেলন

রাজ্য

পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হলো ডিওয়াইএফআই পশ্চিমবঙ্গ ২০ তম রাজ্য সম্মেলন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং মৃণাল সেন নগর (বহরমপুর), মানব মুখার্জি এবং তরুণ মজুমদার মঞ্চে (রবীন্দ্র ভবন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন। এদিন শুরুতে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, সহ নেতৃত্ব। পতাকা উত্তোলনের পর হবে প্রকাশ্য সমাবেশ। বক্তব্য রাখবেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখার্জি, হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য।
১৯৭৭ সালে ২১ জুলাই জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে এরাজ্য শপথ নিয়েছিল প্রথম বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভা। রাজ্যের কর্মসংস্থান, উন্নয়ন, প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে বামফ্রন্ট সরকার। বক্রেশ্বর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হওয়ার সময় ডিওয়াইএফআইয়ের উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে হয়েছিল রক্তদান শিবির। হাজার হাজার মানুষ রক্তদান করেছিলেন। রাজ্যের বুকে তৈরি হয়েছিল নতুন ইতিহাস। আজ যখন ডিওয়াইএফআইয়ের ২০ তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে তখন রাজ্যের যুব সমাজ দাঁড়িয়ে আছে খাদের মুখে। কাজ নেই। গোটা দেশে বেকারত্ব বাড়ছে। মানুষ কাজ পাচ্ছে না। রাজ্যের যুবক যুবতীরা পরিযায়ী হচ্ছেন। পরিবারকে ছেড়ে জীবিকার জন্য অন্যত্র যেতে হচ্ছে তাদের। নতুন করে কোন কর্মসংস্থানের সুযোগ রাজ্যের বুকে তৈরি করতে পারেনি তৃণমূল সরকার। উল্টে একটা গোটা প্রজন্মকে তারা বেপথে পরিচালিত করছে।


এই পরিস্থিতিতে গত সম্মেলন থেকে এই সম্মেলন পর্যন্ত একাধিক বার কাজের দাবিতে, শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে পথে নেমেছে ডিওয়াইএফআই। কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত হয়েছে ইনসাফ যাত্রা। হয়েছে ইনসাফের ব্রিগেড সমাবেশ। ৫১ দিন ধরে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার হেঁটে ছিলেন ডিওয়াইফআই কর্মীরা।
২০২৪ এর ইনসাফ সমাবেশ থেকে মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, ‘‘চোখের সামনে এখনও মইদুলকে দেখতে পাই। চোখের সামনে ভেসে ওঠে পুলিশ কীভাবে ওকে পিটিয়ে মেরেছিল। সুদীপ্ত, সাইফুদ্দিনের লাশ আমরা কাঁধে করে নিয়ে এসেছি। লাশকাটা ঘরের গন্ধটা এখনও নাকে লেগে আছে। যারা ওদের মেরেছে, তাদের কি ছেড়ে দেওয়া যায়? যদি ছেড়ে দিই, তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের বেইমান বলবে। বেইমান শুনতে আমরা লড়াইয়ের ময়দানে নামিনি।’’
কাজের দাবিতে ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে নবান্ন অভিযানে কলকাতা পৌরসভার সামনে পুলিশের লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল বাঁকুড়ার ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার। খুন হতে হয়েছিল আমতার আনিস খানকে। এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে বার বার পথে নেমেছে ডিওয়াইএফআই। নেতৃত্বের ওপর নেমে এসেছে আক্রমণ জেলে যেতে হয়েছে মীনাক্ষী মুখার্জি, কলকতান দাশগুপ্তদের। আরজি কর আন্দোলনের সময় মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কলতান দাশগুপ্তকে। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক তরুণীর দেহ যখন পরিবারের লোকেদের চোখে আড়ালে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ সেই সময় এই ডিওয়াইএফআই কর্মীরা শববাহী শকট আটকে ছিল। নেতৃত্বে ছিলেন মীনাক্ষী, কলতানরা। 
রাজ্য নেতৃত্বের কথায় এই সম্মেলন থেকে যেমন বিগত বছর গুলোর কর্মসূচির পর্যালোচনা হবে, ঠিক তেমন ভাবে তৈরি হবে নতুন কর্মসূচির রূপ রেখা। রাজ্যের বুকে দাঁড়িয়ে সাম্প্রদায়িক বিজেপি এবং দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূলের বিরুদ্ধে কি ভাবে লড়াই করবে যুব সমাজ তার পত দেখাবে এই সম্মেলন।

Comments :0

Login to leave a comment