বিরোধিতা সত্ত্বেও দিল্লির মাদ্রাসী ক্যাম্পে ঘরবাড়ি ভাঙতে শুরু করল দিল্লি পুলিশ। আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে প্রশাসন উচ্ছেদে নামলেও বাসিন্দারা অবিচারের অভিযোগে সরব।
দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিন স্টেশনের কাছে মাদ্রাসী ক্যাম্পে ৩৭০টি পরিবার। তার মধ্যে ২১৫ পরিবারকে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকি ১৫৫ পরিবারকে পুনর্বাসনের যোগ্য বলেই মনে করছে না প্রশাসন।
দিল্লির আর সব জুগ্গি ঝুপড়ির মতো মাদ্রাসী ক্যাম্পেও একেবারে গরিব মানুষের বাস। মহিলাদের বড় অংশই গৃহস্থালীর কাজ করেন স্থানীয় লোকালয়ে। পুরুষেরা দিনমজুরিতে কাজ করেন।
মাদ্রাসী ক্যাম্পে উচ্ছেদের প্রতিবাদে বারেবারেই প্রতিবাদে নেমেছে সিপিআই(এম)। রবিবারও প্রতিবাদে শামিল হন পার্টিকর্মীরা।
এদিকে চেন্নাই থেকে তামিলনাডুর ডিএমকে সরকার বিবৃতিতে জানিয়েছে মাদ্রাসী ক্যাম্পের বাসিন্দারা মনে করলে সে রাজ্যে ফিরে যেতে পারেন। পুনর্বাসন এবং জীবিকার জন্য সহয়তা দেবে সরকার।
দিল্লি আরবান শেলটার ইম্পরুভমেন্ট বোর্ডের অভিযোগ, নিকাশের নালার জমি দখল করে রয়েছেন মাদ্রাসী ক্যাম্পের বাসিন্দারা। নিকাশের জল বের হওয়ার অসুবিধা হয়, বিশেষ করে বর্ষার সময় অসুবিধা সবচেয়ে বেশি।
দিল্লির এই বস্তি এলাকার গরিব মানুষের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে সুবিধা হয়নি। দিল্লি হাইকোর্ট বাসস্থান উন্নয়ন বোর্ডকেই নির্দেশ দিয়েচিল সমীক্ষা করে দেখতে পুনর্বাসনের যোগ্য কারা, সেই সমীক্ষায় ১৫৫ পরিবারকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
পুনর্বাসন পেয়েছে যে যে পরিবার তারাও সমস্যার বাইরে নেই। নারেলায় পাঠানো হয়েছে এই পরিবারগুলিকে। সেখানে গৃহস্থালীর কাজ মিলছে না। মিলছে জীবিকার বন্দোবস্ত।
Madrasi Camp
দিল্লির মাদ্রাসী ক্যাম্পে উচ্ছেদ শুরু, অসহায় ১৫৫ পরিবার

×
Comments :0