সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ২০১৬ প্যানেলের বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। দায়ের হয় মামলা। এদিন বিচারপতি সিনহা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ২৬ সেপ্টেম্বর বা হাইকোর্টের পরবর্তী কোন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই ভাতা দিতে পারবে না সরকার। গত শুক্রবার ছিল এই মামলার শুনানি, সেদিন বিচারপতি সিনহা রাজ্যের কাছে জানতে চায় কিসের ভিত্তিতে এই ভাতার অঙ্ক ঠিক করা হলো?
এদিন সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বলা হয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে। তার ১৫ দিনের মধ্যে পাল্টা হলফনামা দেবেন মামলাকারীরা।
মামলাকারিদের পক্ষ থেকে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘সরকারের এই সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট হচ্ছে তারা টাকা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের বাঁচাতে চাইছে। সাদা খাতা দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের না ধরে সরকার তাদের আড়াল করছে। রাজ্যের এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। ২০১৬ সালে যারা পরীক্ষা দিয়েছিলেন তারা দুর্নীতির জন্য অনেকে কাজ পায়নি। তারাই মামলা করেছে আদালতে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।’’
Comments :0