বাড়ি বাড়ি প্রি পেইড স্মার্ট মিটার বসানো আপাতত স্থগিত করতে হলো রাজ্যকে। রাজ্যজুড়ে তীব্র বিক্ষোভের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হলো তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।
প্রি পেইড মোবাইল সংযোগের মতো ব্যালান্স শেষ হলেই সরবরাহ খতম। স্মার্ট মিটারের একটি বৈশিষ্ট্য এটিই। কিন্তু বিক্ষোভের বড় কারণ হয়েছে বিদ্যুতের বিল লাফিয়ে বেড়ে যাওয়া। সবচেয়ে কঠিন অবস্থাব পড়েছেন নিম্নবিত্ত, সাধারণ মানুষ।
সোমবার ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বিদ্যুৎ বিভাগ’ উল্লেখ করে একটি বিজ্ঞপ্তির ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ‘প্রেস বিজ্ঞপ্তি’ উল্লেখ করে এই ঘোষণায় স্মার্ট মিটার প্রকল্প আপাতত স্থগিত করার কথা বলা রয়েছে। তবে ছড়িয়ে পড়া বিজ্ঞপ্তিতে কারও সই নেই। পরে জানা যায় নবান্ন থেকেই এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে ‘বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার ইত্যাদির মতো জায়গায় স্মার্ট মিটার সফলভাবে লাগানোর পর তিন/চারটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গার্হস্থ্য বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো হয়। 
এমতাবস্থায় কিছু অভিযোগ আসায় প্রয়োজন মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য গার্হস্থ্য উপভোক্তাদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ রাখা হলো।’
বাড়ি বাড়ি স্মার্ট মিটার বসানোর বিরুদ্ধে স্থানীয় বিদ্যুৎ দপ্তরে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র হয়েছে বিক্ষোভ। সিআইটিইউ সহ বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন জনতাকে নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। জেলা জেলায় হয়েছে বিভিন্ন মিছিল।
স্মার্ট মিটার পরকল্পে দিনে চাহিদার সময় বিদ্যুতের মাশুলের হার বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে ইউনিট ব্যবহার এক থাকলেও লাফিয়ে চড়ে যাচ্ছে বিদ্যুতের বিল। বিশেষ করে গরমের সময় অবস্থা মারাত্মক হয়েছে। ফলে ক্ষোভের মাত্রাও তীব্র হয়েছে। কারও অনুমতি না নিয়েই স্মার্ট মিটার বসিয়ে দেওয়ার এই কৌশলেরও তীব্র প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে রাজ্যের সর্বত্র।
ফলে আপাতত পিছু হটতে হয়েছে রাজ্যকে।