দশ বছরের কিশোরীকে বোমা ছুঁড়ে হত্যায় ক্ষোভ জানালেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এম এ বেবিও। 
কালীগঞ্জের ঘটনা তুলে বেবি বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত। তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোঁড়া বোমায় নিহত হয়েছে এই কিশোরী। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল শাসনের নিষ্ঠুর বাস্তবতাকে স্পষ্ট করছে এই হত্যাকাণ্ড।’’
বেবি বলেছেন, ‘‘তমন্নার পরিবারের পাশে আছি আমরা। অপরাধীদের শাস্তি চাইছি। বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’’
তমন্না খাতুন হত্যার ঘটনায় প্রকৃত বিচারের দাবিতে মিছিল চলছে রাজ্যের সর্বত্র। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে বিক্ষোভ থেকে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে হয়েছে মিছিল। ছাত্র-যুব-মহিলাদের যৌথ প্রতিবাদে পথ অবরোধ হয় বিটি রোডে। দমদমে হয়েছে প্রতিবাদ মিছিল। 
মালদহ শহরে সিপিআই(এম) কর্মীরা মিছিল করেন ফোয়ারা মোড় থেকে। ইংরেজ বাজার এরিয়া কমিটির মিছিল থানার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ শ্লোগান তোলে। রাজ্যের পুলিশের ভূমিকাকে ধিক্কার জানায়। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সিপিআই(এম) মালদহ জেলা সম্পাদক কৌশিক মিশ্র।
জলপাইগুড়ি শহরে সিপিআই(এম) জেলা কার্যালয় সুবোধ সেন ভবন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কদমতলা, বিনবাজার ডিবিসি রোড  দিয়ে যায়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন পার্টির জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য কৌশিক ভট্টাচার্য সহ নেতৃবৃন্দ। 
পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে সোমবার থেকেই। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, মীনাক্ষী মুখার্জিরা। সোমবার রাতেই ছাত্র যুব রাজ্য নেতৃবৃন্দ পৌঁছান কালীগঞ্জের মোলান্দী এলাকায়। তমন্নার মা সাবিনা ইয়াসমিন শেখকে নিয়ে যান থানায়। দায়ের করা হয় এফআইআর। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন এত বোমা আসে কোথা থেকে। পুলিশ জানে না তা হতে পারে না। তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীবাহিনী বারবার মদত পাচ্ছে পুলিশের থেকে। যার জেরে নিহত হয়েছে দশ বছরের কিশোরী। পরিবার জানিয়েছে যে পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই। সিবিআই তদন্তেরও দাবি উঠেছে।