নারী ও নাবালিকাদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে গোটা রাজ্য প্রতিবাদে সরব। তবুও থামার নাম নেই। প্রায় প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাওয়া যাচ্ছে নির্যাতনের অভিযোগ। কোথাও ধর্ষণ, কোথাও দলবেঁধে ধর্ষণ কোথাও আবার ধর্ষণের চেষ্টা, কোথাও বিবস্ত্র করে মারধর ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগও উঠছে। এবার এক দশবছরের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুর পাড়ে ধর্ষণ করল এক টোটো চালক। রবিবার বিকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী শহরে। সোমবার বিকালে বিষ্ণুপুরের এস ডি পি ও সুপ্রকাশ দাস জানান, এই ধর্ষণর ঘটনায় যুক্ত সোনামুখীর মাইতকালী তলার বাসিন্দা টোটো চালক পিন্টু নাগ(২৮)কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদিন বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হলে বিচারপতি তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এলাকা ও পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায় যে রবিবার বিকালে ওই নাবালিকাটি একটি সাইকেলে করে আসছিল। সেই সময় অভিযুক্ত পিন্টু নাগ তাকে চকলেটের দিয়ে জানায় অনেক আম দেবে তাকে। এই বলে তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে শহরের একটি পুকুরের কাছে তাকে ধর্ষণ করে। নাবালিকাটি কাঁদতে কাঁদতে ঘরে এসে তার মা ও পরিবারের লোকজনে জানায়। রাতে তাঁরা পিন্টু নাগের নামের সোনামুখী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে। নাবালিকাটিকে রাতেই সোনামুখী ও সোমবার সকালে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তার শারিরীক পরীক্ষা করার জন্য। পরীক্ষা জানা যায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। 
সোনামুখী বহু মানুষ জানান, অভিযুক্ত পিন্টু নাগ এই ধরনের স্বভাবের ছেলে। গাঁজা, মদের নেশায় আসক্ত থাকে। সোনামুখীর মানুষের অভিযোগ সোনামুখীর মাইতো কালিতলা এলাকার বেশ কিছুদিন ধরে মদ, গাঁজা ও অন্য নেশার ঠেক বসে। শহরের বিভিন্ন পাড়া থেকে একাধিক অসামাজিক মানুষের সেখানে ভিড় হয়। পুলিশকে বারে বারে জানানো সত্বেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে এই নেশার ঠেক বেড়েই চলেছে। সেই পরিবেশের পরিনামেই এক নাবালিকাকে ধর্ষিতা হতে হল। আক্ষরিক অর্থেই সোনামুখীর মানুষের মনে একটা আতঙ্ক তৈরী হয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যজুড়ে যে কর্দয ঘটনা ঘটছে তার ঢেউ প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পন্ন সোনামুখী শহরে এসেও পড়ল? তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ পুলিশের দিকে। পুলিশ যদি আগে থেকে এই নেশার আড্ডাগুলো বন্ধ করত তাহলে এই ঘটনা ঘটতনা। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে যে একাধিক এলাকায় ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের যথাযথ ভূমিকা না থাকার কারণেই এই ধরনের অপরাধ বাড়ছে।