আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান সম্পর্কে আগ্রাসী মন্তব্যের নিন্দা করল সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। 
বুধবার পলিট ব্যুরো বলেছে যে ট্রাম্পের এমন বক্তব্য ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। গোটা পশ্চিম এশিয়াকে যুদ্ধ এবং অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। 
উল্লেখ্য, ইরানকে বিনা প্ররোচনায় ইজরায়েল আক্রমণ করার পর আক্রান্ত দেশকেই দায়ী করেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার আবার বলেছেন যে ইরানের ধর্মীয় নেতা খোমেইনি কোথা লুকিয়ে আমেরিকা জানে। তবে তাঁকে এখনই হত্যা করার কথা বিবেচনা করছে না আমেরিকা। হুমকি দেন যে ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে হবে। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, ট্রাম্প এখন প্রকাশ্যে ইরানের নেতাদের হত্যা করার হুমকি দিচ্ছেন। ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের হুমকি দিচ্ছেন। আমেরিকা বড় সংখ্যায় নৌবাহিনী পাঠাচ্ছে যা থেকে বোঝা যাচ্ছে ইজরায়েলের সঙ্গে জোট বেঁধে ইরানকে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরোদমে। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, এই ঘটনাক্রম বিপজ্জনক। পশ্চিম এশিয়ার পাশাপাশি বিশ্বকে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কানাডায় জি-৭ গোষ্ঠীর বৈঠকে কেবল ইরানকে দায়ী করা হয়েছে। ইজরায়েলের দখলদারি এবং আগ্রাসন সম্পর্কে চোখ বুঁজে থাকা হয়েছে। এই ধরনের বিবৃতি আগ্রাসনকে মদত দিচ্ছে। অথচ, ঘটনাক্রম প্রমাণ করছে ইজরায়েলেই সবার আগে দায়ী। গাজায় গণহত্যা থেকে শুরু করে একের পর এক দেশে সামরিক আগ্রাসনের বিস্তার করেছে ইজরায়েল। সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেনের পর এবার আক্রমণ করেছে ইরানকে। ইজরায়েলকে না  সামলানো হলে পুরো অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা অসম্ভব। 
পলিট ব্যুরো বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি ক্ষতিকর রাষ্ট্র ইজরায়েলকে ব্যবহার করছে পশ্চিম এশিয়া এবং তার বাইরে নিজেদের আধিপত্য কায়েক করার জন্য। আন্তর্জাতিক আইন ও রীতির লঙ্ঘন হচ্ছে। 
পলিট ব্যুরো আবেদন, আন্তর্জাতিক জনমতকে এখনই যুদ্ধ বিরতির জন্য আমেরিকা ও ইজরায়েলের ওপর চাপ তৈরি করতে হবে। কূটনীতির পথে বিরোধ সমাধানের পথে ফিরে আসতে বাধ্য করতে হবে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মার্কিনমুখী এবং ইজরায়েলের সঙ্গী হয়ে চলার নীতি ছাড়তে হবে। 
উন্নয়নশীল ও বিকাশমান দেশগুলির প্রতি প্রকৃত দায়বদ্ধতা থাকলে এমন অন্য দেশগুলির সঙ্গে সংহতি গড়ে একজোটে ইজরায়েলের আগ্রাসন এবং তার প্রধান মদতদাতা আমেরিকার বিরুদ্ধে স্বর তুলতে হবে।