ওড়িশায় আটক হরিশ্চন্দ্রপুরের ১৯ শ্রমিককে ফেরানোর দাবি তুলল ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইগ্রান্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সিআইটিইউ অনুমোদিত এই সংগঠন বলেছে যে প্রত্যেকে রাজ্যের বাসিন্দা। ঠিকানা, পরিচয় সব রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশী বলে আটকে রাখা হয়েছে।  ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশী’ তকমা দিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে বারবার। 
সম্প্রতি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের তালগাছ গ্রামের ১৯ পরিযায়ী শ্রমিক ও বিহারের একজনকে বাংলাভাষীদের হওয়ার কারণে ওড়িশায় কটকের মাহাঙ্গা থানার পুলিশ বাংলাদেশী তকমা দিয়ে আটকে রাখে। সে রাজ্যের সরকারে আসীন বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সরকার এভাবেই হেনস্তা করছে বাংলার শ্রমিকদের। 
হরিশ্চন্দ্রপুরের এই শ্রমিকদের মাহাঙ্গা থানায় ডেকে আটকে রাখে। থানা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অট্টগড় জেলখানার পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। 
সিআইটিইউ বলেছে, এই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলাভাষী হওয়ায় অত্যাচার নামিয়ে আনা হয়েছে। হেনস্তা করা হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার এ ব্যাপারে নীরব দর্শক। নীরব প্রশাসনও। আটক শ্রমিকদের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, আধার নম্বরও প্রশাসনকে দিয়েছেন সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ। 
অবিলম্বে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের মুক্তি দাবি করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইগ্রান্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। সংগঠনের মালদহ জেলা কমিটি বলেছে, বাংলাভাষীদের বাংলাদেশী তকমা দিয়ে যাতে হয়রানি ও অত্যাচার না করা হয় তার জন্য রাজ্য সরকার ও প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে এখনই। এদিন মালদহের জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ।