চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ৭০ প্যালেস্তিনীয়কে হত্যা করল ইজরায়েলের সেনা। মঙ্গলবারের এই হামলায় কয়েকশো আহত। ত্রাণ কেন্দ্র থেকে খাবার আনতে যাওয়া মানুষের ওপরই চালানো হয়েছে গুলি। এদিন গাজার বিভিন্ন জায়গায় নিহতের সংখ্যা ৮৯।
বিভিন্ন প্রতিবেদন এক জায়গায় করলে দেখা যাচ্ছে যে ২৬ মে থেকে এক মাসেরও কম সময়ে ত্রাণ কেন্দ্রেই বুভুক্ষু জনতার ভিড়ে গুলি চালিয়ে ৩০০ জনকে হত্যা করেছে ইজরায়েল। আহতের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার।
মঙ্গলবার সকালেই গাজার দক্ষিণ অংশে খান ইউনিসে খাবারের জন্য ভিড় করা জনতার ওপর গুলি চালায় ইজরায়েলের সেনা। অনাহারের গাজার জনতার, বিশেষ করে শিশুরা, দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে। এর আগে ত্রাণ বিলি আটকে রেখেছিল ইজরায়েল।
ইজরায়েল এবং আমেরিকার তৈরি সংস্থা জিএইচএফ’র ত্রাণ কেন্দ্রে পরপর গুলি চালানো হচ্ছে। ত্রাণ কেন্দ্রই হয়ে উঠছে মৃত্যুফাঁদ। অনাহারে থাকা জনতার উপায় থাকছে না। ত্রাণকেন্দ্রে ভিড় করছেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে ‘সন্দেহজনক গতিবিধি’ থাকার অভিযোগ তুলে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা।
এদিন পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে খান ইউনিসে গুলি চালনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গাজার অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এদিন বলেছেন, ‘‘নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর ড্রোন আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েল। ড্রোন হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় ট্যাঙ্ক থেকে গোলা ছোঁড়া। বহু মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন।’’
গাজায় আহতদের চিকিৎসাও এখন প্রায় অসম্ভব। মাটির তলায় হামাসের ঘাঁটি থাকার অভিযোগ তুলে একের পর এক হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল।
গত সোমবার রাফায় ত্রাণ কেন্দ্রে গুলিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৮। মঙ্গলবার তার প্রায় দ্বিগুন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
Aid Center Killing
হত্যার নতুন নজির, গাজায় ত্রাণ কেন্দ্রে গুলিতে হত ৭০

×
Comments :0