বইকথা
ছড়ায় ছড়ায় মজায় মজায় : খাই খাই
প্রদোষকুমার বাগচী
নতুনপাতা
তোমাদের জন্য অনেকদিন পর আবার একটা মজার বইয়ের কথা বলবো। তোমাদের মনে
কৌতুহল বাঁচিয়ে রাখতে বইটির নাম এখুনি বলছি না। তবে এটি একটি ছড়ার বই। সেই
বইটির কথাই তোমাদের বলব। বইটি লেখা হয়েছে অনেক আগে। তারপর তার কত মুদ্রণ
যে ছাপা হয়েছে তার কোনও শেষ নেই। আজ এতদিন পরেও বইটির আকর্ষণ কিছু কম
নয়। ছড়ার বই কার না ভালো লাগে। বড়দের কাছেও তার আকর্ষণ কি কিছু কম? আর
তা যদি একটু আজব বা মজাদার হয় তাহলে তো কথাই নেই। এখন তোমরা তো জানতে
চাইছো যে আমি ঠিক কোন ছড়ার কথা বলছি। আর তার লেখকই বা কে? যে বইটির কথা
আমি এখন বলবো তার নাম ‘খাই খাই’। আর ছড়াকারের নাম সুকুমার রায়।
তোমাদের অনেকের বাড়িতে হয়তো টেবিলের উপরেই বইটি পড়ে রয়েছে। আজ আবার
সেটি টেনে নিয়ে একটু উলটে পালটে দেখতে পারো। দেখবে ‘খাই খাই’ ছড়াটিতে নানা
ধরনের খাবারের কথা বলা হয়েছে। তোমরা অনেকেই তো নানা ধরনোর খাবার খেতে
ভালোবাসো। এখন দেখা যাক ‘খাই খাই’তে কত ধরনের খাবারের কথা বলা হয়েছে। ‘ময়রা
ও পাচকের যত কিছু সৃষ্টি’ সব এখানে বলা হয়েছে। তার মধ্যে আমিষ-নিরামিষ, চর্ব্য
ও চোষ্য,রুটি, লুচি, ভাজাভাজি, টক আর মিষ্টির কথা আছে। এছাড়া আছে ফলাহারের
কথা। যেখানে চিড়ে দৈ-এর কথা আছে। এখানেই শেষ নয়। এর বাইরেও রয়েছে ফ্রান্স,
বার্মা, মাদ্রাজ, জাপান, চিন প্রভৃতি দেশ বিদেশের খাবারের সংবাদ। এছাড়াও আরও
কিছু খাবারের কথা আছে। তোমরা বইটি খুলে একবার দেখে নিতে পারো যে সত্যিই তেমন
খাবারের কথা আছে কিনা।
তবে এই ‘খাই খাই’ বইটিতে রয়েছে অনেক অনেক মজাদার ছড়া— সূচনা, পরিবেষণ,
দাঁড়ের কবিতা, হন্ হন্ বন্ বন্, দাদা গো দাদা, আমার নাম ‘বাঃ’ ইত্যাদি । তোমাদের
যেটা ইচ্ছে দেখে নাও।
আমি যে বই থেকে তোমাদের খাবারগুলির কথা বললাম সেটি এনবিএ’র প্রথম সংস্করণ
থেকে নেওয়া। বইটি পাওয়া যাচ্ছে ন্যাশনাল বুক এজেন্সিতে। দাম ৫০ টাকা।
Comments :0