MGNREG

একশো দিনের কাজে দেশে শ্রমদিবস কমেছে ২৫.৬ শতাংশ

জাতীয়

শেষ দুই অর্থ বর্ষের তুলনায় ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে একশো দিনের কাজের অধীনে শ্রম দিবসের সংখ্যা ২৫.৬ শতাংশ কমেছে। এই উদ্বেগজনক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। 
বুধবার সমাজকর্মী ও শিক্ষা বিদদের একটি মঞ্চ লিব টেক ইন্ডিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ সালে কর্মী কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছিলো তা আবার বেড়েছিল ২০২৪-২৫ সালে বেড়েছিল। কিন্তু চলতি অর্থবর্ষে আবার কমেছে। 
এই বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারা দেশে এই প্রকল্পের আওতায় ১৩২.৫ কোটি শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে একই সময়ের ১৫০.১ কোটি শ্রমদিবস ছিল। যার অর্থ, চলতি বছরে ১১.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে এই সংখ্যা ১৭৮.১ কোটি ছিল। চলতি বছরে তা ২৫.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এটি প্রতি বছর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ধীরে ধীরে হ্রাস তা উদ্বেগজনক। উত্তরাখণ্ডে কমেছে ৫৪.৩ শতাংশ, তেলেঙ্গানায় কমেছে ৪৭.৬ শতাংশ। ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর প্রদেশে হ্রাসের হার ৫৬.৪ শতাংশ এবং ৩০.৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে অর্থ বরাদ্দ এই প্রকল্পে বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। তৃণমূলের দুর্নীতির দায় দিলেও গরিবমানুষকে শাস্তি দিচ্ছে বিজেপি সরকার। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট রায় দিলেও ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়নি কাজ। কবে শুরু হবে তা অনিশ্চিত। একশো দিনের কাজ চালুর দাবিতে রাজ্যে গড়ে উঠেছে মঞ্চও। 
লিবটেক-র গবেষক এম রাহুল বলেছেন, গত দু’টি অর্থবর্ষে বহু জব কার্ড বাতিল হয়েছে। সেই তুলনায় কম নামই যুক্ত হয়েছে। গত অর্থবর্ষে তবু কিছু নতুন নাম যুক্ত হয়েছিল। চলতি অর্থবর্ষে তা ফের পড়তির দিকে। 
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে নাম নথিভুক্তি কেবল প্রকল্পের প্রথম অংশ। আসল কথা হলো কতজন কাজ পেয়েছেন এবং তার ভিত্তিতে মজুরি পেয়েছেন।  
একশো দিনের কাজে ই-কেওয়াইসি চালু করা হয়েছে। আধারের ভিত্তিতে মুখের ছবি চিহ্নিতকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ন্যাশনাল মোবাইল মনিটারিং সিস্টেমের মতো ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন একশো দিনের কাজে আবেদনকারী গরিব গ্রামের মানুষ।

Comments :0

Login to leave a comment