রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলনে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম বার বার জড়াচ্ছে।
ব্রাজিলের বেলেমে হচ্ছে এবারের বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলন ‘কপ-৩০’। সম্মেলনের দ্বিতীয় সপ্তাহেও উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে শিল্পোন্নত দেশগুলির মতবিরোধ চলছে। তার অন্যতম বিষয় কয়লা বা পেট্রোলিয়ামের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির জন্য তহবিল।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব উষ্ণায়নের তত্ত্বকেই স্বীকার করেন না। জীবাশ্ম জ্বালানিতে জোর দেওয়ার সবুজ সঙ্কেত প্রকাশ্যেই দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বহুজাতিক জ্বালানি কর্পোরেটও কমিয়েছে পরিবেশ বান্ধব শক্তি উৎপাদনে বরাদ্দ। সম্মেলনে আসছে সেই প্রসঙ্গ। ‘কপ-৩০’ সম্মেলনে প্রতিনিধি পাঠায়নি আমেরিকা।
২০১৬’র প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল শতাব্দীর শেষে শিল্পায়নের আগের তুলনায় বিশ্বের গড় তাপমাত্রার বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে। তার জন্য কমাতে হবে বিশ্ব উষ্ণায়নে দায়ী বিভিন্ন গ্রিন হাউস গ্যাস বাতাসে মেশা কমাতে হবে। শিল্পোন্নত দেশগুলি গত দুশো বছরে সবচেয়ে বেশি বাতাসে ছেড়েছে এধরনের গ্যাস। বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহারে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের সহায়তা করার কথা হয়েছে বিভিন্ন সম্মেলনে। পরিবেশ রক্ষার তহবিলে আর্থিক দায়ভার নেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে। তবে কাজ হয়েছে সামান্যই।
শিল্পোন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও অত্যধিক বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩-২৪ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যাচ্ছে , মার্কিন যুক্তরাষ্টে দূষণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৪ শতাংশ।
উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও বিভিন্ন দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। প্রতিনিধিরা অনেকেই বলছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বাড়াচ্ছে। এখন উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে সম্মত হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নও দাবি করেছে যে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
অন্যদিকে , একটি ভারতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এজেএসএ-কে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এই সংগঠন মূলত ওড়িশার কালাহান্ডি এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের প্রায় ৫৫০০ আদিবাসী মহিলাদের উন্নয়নমূলক কাজে নিযুক্ত থেকেছে। খরাপ্রবণ এই এলাকায় কৃষি উৎপাদনে সহায়ক পদ্ধতিতে চাষের পরীক্ষা করেছে এই আদিবাসী মহিলাদের নিয়ে। এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য ছিল আদিবাসী গোষ্ঠীদের মধ্যে জলবায়ু সংক্রান্ত সচেতনতা গড়ে তোলা।
পরিবেশ হল অমূল্য সম্পদ , ফলে বিশ্বব্যাপী জনগণের দায়িত্ব পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার । যদিও শিল্পোন্নত দেশগুলি তাদের পক্ষ থেকে পরিবেশ বা জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে অসচেতনতা দেখাচ্ছে ফলে দিনে দিনে এই বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিজ্ঞানীদের মতে, তাপমাত্রার উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী গ্যাস নির্গমন মাত্রা ৬০ শতাংশের বেশি কমাতে হবে। সেই প্রক্রিয়া জোরদার করতে বার্তা পাঠিয়েছেন পোপ লিও।
COP 30 and USA
আমেরিকার ভূমিকায় বাড়ছে ক্ষোভ ব্রাজিলের বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনে
বেলেমে বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনে ভারতের এনজিও এজেএসএ-কে বিশেষ সম্মান।
×
Comments :0