বিশ্বের বৃহত্তম টিকটিকি
তপন কুমার বৈরাগ্য
বিশ্বের বৃহত্তম টিকটিকির নাম কমোডো ড্রাগন।যার কামড় মারাত্মক।একটা আস্ত ছাগল তিন সেকেন্ডের মধ্যে
গিলে খেয়ে নিতে পারে।যাদের গন্ধশক্তি সবচেয়ে প্রবল।
এদের সবচেয়ে প্রিয় খাদ্য মৃত জীবজন্তুর মাংস।কোনো
প্রাণী মারা গেলে, তাকে মাটির তলায় পুঁতে রাখলে, এরা
গন্ধ শুঁকে সঠিক স্থান বের করে ,সেইসব মৃত প্রাণীর মাংস
খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে।এদের ইন্দোনেশিয়া দ্বীপপুঞ্জে
দেখা যায়।পূর্ণবয়স্ক পুরুষ টিকটিকি প্রায় ৯০কেজি ওজন
হয়।পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী টিকটিকি প্রায়৭৫কেজি ওজন হয়।পুরুষ
টিকটিকি প্রায় ৯ফুট লম্বা হয়।স্ত্রী টিকটিকি প্রায় ৭ফুট লম্বা
হয়।এই ধরনের টিকটিকি নীল,কমলা,সবুজ,ধূসর রঙের
হয়ে থাকে।এদের ত্বক তবে খুব রুক্ষ।দৃষ্টিশক্তিও খুব ভালো।
এই বিরল প্রাণী খুব সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করে।এদের কাঁটাযুক্ত জিহ্বা দেখা যায়।এরা গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ায় বাস করে।যেখানকার গড় উত্তাপ ৩৫ডিগ্রি সেলসিয়াস সেখানেই এরা থাকতে ভালোবাসে।এদের আকার বিশাল,সমতল মাথা থাকে।এদের পা গুলো ধনুকের মতন এবং দীর্ঘ।এরা আগস্ট মাসে
অনেকগুলো ডিম পাড়ে।অক্টোবর মাসে অনেকগুলো বাচ্চা
হয়।বাচ্চাগুলো ১২ইঞ্চি মতন লম্বা হয়।সব বাচ্চা বেঁচে থাকে না।
এদের বাচ্চাগুলোর সবচেয়ে অদ্ভূত আচরণ জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই
উঁচু কোনো গাছে উঠে গিয়ে বসবাস করে।সেখানে পোকামাকড়,পাখি,পাখির বাচ্চা খেয়ে চারমাস পর্যন্ত গাছে থাকে।
তারপর চার মাস পর গাছ থেকে নেমে এসে মাটিতে বসবাস করে।
ইতিমধ্যে দু-একটা বাচ্চাও মারা যায়। চারমাস পরে এরা
চার পাঁচ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।ইন্দোনেশিয়ার এরা জাতীয় প্রাণী।
আমাদের দেশের টিকটিকিরা যেমন সরীসৃপ এরাও তেমনি সরীসৃপ প্রাণী।এদের খাদ্য মহিষ, হরিণ, ছাগল।এমন কি এদের
সামনে কোনো মানষ পড়লে এরা তাকে আস্ত রাখে না।তবে এরা
দ্রুত ছুটতে পারে না।এদেরও পায়ে প্যাড থাকার জন্য এরা
বড় কোনো গাছে আটকে থাকতে পারে।এরা ত্রিশ পঁয়ত্রিশ
বছর বাঁচে।এতো বিশাল টিকটিকি আর পৃথিবীতে কোথাও দেখা যায় না।এরা মাটির তলায় গর্ত করেও থাকতে পারে।আবার
গাছেও উঠতে পারে।এই ধরনের টিকটিকির আর একটি
নাম--ভারাণ।
Comments :0