Red Panda

রেড পান্ডা সুমারি পাহাড়ে

জেলা

রেড পান্ডার বর্তমান হাল হকিকৎ জানতে দীর্ঘ বছর পরে ফের দার্জিলিঙ পাহাড়ে বিলুপ্তপ্রায় রেড পান্ডা সুমারি হতে চলেছে। আগামী মে মাস থেকেই রাজ্য বনদপ্তরের উদ্যোগে দার্জিলিঙ-কালিম্পঙের জঙ্গলে রেড পান্ডা গণনার কাজ শুরু করা হবে। জানা গেছে, ২০১৯সালের পর চলতি বছরের মে মাসে ফের রেড পান্ডা সুমারি হবে। দীর্ঘ ছয় বছর পর দার্জিলিঙের সিঙ্গালিলা জাতীয় অভয়ারন্য ও কালিম্পঙের নেওড়াভ্যালি অভয়ারন্যে রেড পান্ডা সুমারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দার্জিলিঙে রেড পান্ডা প্রজনন কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্র সারা দেশের মধ্যে অন্যতম। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও দার্জিলিঙ রেড পান্ডা প্রজনন ও সংরক্ষনে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। দার্জিলিঙের সিঙ্গালিলা জাতীয় অভয়ারন্যে সূদুর জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডস থেকেও ডিএনএ উন্নত করার লক্ষ্যে রেড পান্ডা দম্পতি আনা হয়েছে। 
বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হবার পর থেকেই রেড পান্ডা সংরক্ষণ ও প্রজননের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সেই সময়কার সুমারির তথ্য অনুয়ায়ী সিঙ্গালিলা জাতীয় অভয়ারন্যে ৩১টি ও নেওড়াভ্যালি জঙ্গলে রেড পান্ডার সংখ্যা ছিলো ৩৫টি। দার্জিলিঙ চিড়িয়াখানার অন্তর্গত তোপকেদাঁড়ায় রেড পান্ডা প্রজনন কেন্দ্রে দীর্ঘ প্রায় ২২বছর ধরে রেড পান্ডা প্রজনন ও সংরক্ষণের কাজ চলছে। এই সময় পর্যন্ত মোট ১২টি রেড পান্ডাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো। ইতোমধ্যেই রেড পান্ডা সংরক্ষণ প্রোগ্রামের জন্য বিশ্ব দরবারে সেরার শিরোপা পেয়েছে দার্জিলিঙ চিড়িয়াখানা। বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণী রেড পান্ডা সংরক্ষণ ও প্রজননের জন্য ওয়াজা কনজার্ভেশন অ্যাওয়ার্ডের প্রকাশিত তালিকায় স্থান পেয়েছে দার্জিলিঙের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক। তালিকার প্রথম তিন নম্বরে স্থান করে নিয়েছে দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানা। দার্জিলিঙ চিড়িয়াখানায় বিলুপ্তপ্রায় রেড পান্ডার সংরক্ষণে ডিএনএ, টিস্যু সংরক্ষণের জন্য বায়ো ব্যাঙ্কিং গবেষনাগার তৈরী হয়েছে। দার্জিলিঙ, কালিম্পঙ ছাড়াও সিকিম ও প্রতিবেশী নেপালের একটি অংশে রেড পান্ডার দেখা মেলে। বাসস্থান, খাদ্যভাস, আচার আচরণ ভিন্ন প্রকৃতির হওয়ার কারণে পাহাড়ের অধিক উচ্চতায় বসবাস করে রেড পান্ডা। নেওড়াভ্যালি জঙ্গলের সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬০০ থেকে ৮০০ ফুট উচ্চতা থেকে দার্জিলিঙের সাড়ে সাত হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বসবাস রয়েছে রেড পান্ডার। 
রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, রেড পান্ডার বর্তমান পরিস্থিতি জানতেই সুমারি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেড পান্ডা সুমারি প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভাস্কর জেভি বলেন, ২০১৯সালের পর রেড পান্ডার সংখ্যা জানতে মে মাস থেকে রেড পান্ডা সুমারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সুমারির বিষয়ে বনদপ্তরের অনুমতি মিলেছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুযায়ী সরাসরি দেখে অথবা মল মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ যাচাইয়ের মাধ্যমে রেড পান্ডার সুমারি করা হবে। 

Comments :0

Login to leave a comment