প্রকৃত কোনও ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। বাদ দিতে হবে ভুয়ো ভোটারদের নাম। এসআইআর নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি দরকার রেড ভলান্টিয়ারদের মতো বুথ স্তরে সহায়তার ব্যবস্থা করা। তিনি জানিয়েছেন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবং শান্তির পক্ষে ১ সেপ্টেম্বর বামপন্থীরা বিভিন্ন গণসংগঠনকে নিয়ে সমাবেশ করবে কলকাতায়।
বৃহস্পতিবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন কমিউনিস্ট নেতা এবং কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভিএস অচ্যুতানন্দনের স্মরণসভার পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে তিনি একথা বলেছেন।
সেলিম বলেন, এসআইআর ঘিরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। কোর্টে প্রচুর অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছে অ্যাফিডেফিটের জন্য। হায়দরাবাদের এক গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে নামের বানানের ভুলের জন্যও বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভোটদাতাদের নাম। 
সেলিম আরো বলেন, আমরা বারবার বলেছি ভুয়ো ভোটার বাদ দিতে হবে, মৃত ভোটার বাদ দিতে হবে, কিন্তু প্রকৃত ভোটারদের বাদ দেওয়া যাবে না। এখানে ভোটে কারচুপি করেছে তৃণমূল ও বিজেপি একসঙ্গে। ডায়মন্ড হারবারে সবথেকে বেশি ভোট লুট হয়েছে। তৃণমূল দখলদারির রাজনীতি করছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলবে। আমাদের রাজ্যে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত, পৌরসভা, সমবায়, ক্লাব থেকে বিধানসভা, লোকসভায় ভোটচুরি হচ্ছে। যারা ভোটচুরি করছে তারাই দিল্লিতে গিয়ে ভোটচুরি নিয়ে হল্লা করছে। পকেটমাররা এমন করে নিজের সঙ্গীদের বাঁচাতে। ডায়মন্ড হারবার মডেলে যে সবচেয়ে বেশি ভোট লুট করেছিল সে দিল্লিতে ভোট লুটের বিপক্ষে বলছে!  
আমেরিকার শুল্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পঞ্চাশ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারতের উপর। আমাদের দেশের বিদেশ নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে চলবে না। এশিয়া মহাদেশ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দাদাগিরি চলবে না। বিশেষ করে প্যালেস্তাইনের উপর যেভাবে আক্রমণ চলছে তার বিরুদ্ধে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ১ সেপ্টেম্বর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শান্তি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ঐদিন কলকাতায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তির পক্ষে বিরাট সমাবেশ সংঘটিত হবে। বিভিন্ন বামপন্থী দল গণসংগঠন একত্রে কলকাতায় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের সংহতিতে সমাবেশ করব। 
শুক্রবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রসঙ্গে এদিন সেলিম বলেন, ভোট এলেই তিনি বারংবার বাংলায় আসবেন। গত তিনটি ভোটের আগেই তিনি বারংবার বাংলায় এসেছেন শুধু তাই নয় বিহারেও গেছেন। পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের পর কিন্তু সেখানে না গিয়ে তিনি বিহারে গেছেন নির্বাচনী প্রচারের জন্য। মোদী বাংলায় আসছেন রাজনৈতিক স্বার্থে, সরকারি কাজের অজুহাত দেখাচ্ছেন। 
সেলিম বলেন, যেমন মমতা ব্যানার্জি সরকারি সভাকে ব্যবহার করেন ভোটের প্রচারের জন্য তার নিজের দলীয় কাজের জন্য একই কায়দায় মোদীও তাই করছেন। মোদী যে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন, তা অতীতে বামপন্থী সাংসদদের লাগাতার দাবির ফলে হয়েছে।
SALIM ON SIR
এসআইআর সংক্রান্ত হেল্পলাইন বুথস্তরে, সমাবেশ ১ সেপ্টেম্বর, জানালেন সেলিম
                                    
                                
                                    ×
                                    
                                
                                                        
                                        
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0