Calcutta football League

তুষারের গোলে লক্ষ্যভেদ হলনা সুরুচির

খেলা

প্রথমার্ধের দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর দ্বিতীয়ার্ধে বৃষ্টির পরিমাণ ও সুরুচি সংঘের আক্রমণের ধার দুইই বেড়ে গেছিল। বরং দেখা মিলল সবুজ মেরুনের তথৈবচ রক্ষণভাগের। শুরুতেই সুরুচির বেশ কয়েকটি বল মোহনবাগান রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের হাতে লাগলেও রেফারি পেনাল্টি দেননি। দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকটি পরিবর্তন করেন কোচ ডেগি।  ৬৫ মিনিটে রক্ষণের ভুলে আবারো একবার প্রায় গোল করেই ফেলছিলেন হাওকিপ। রক্ষণের ভুল এবং মোহনবাগানের আগুয়ান গোলরক্ষক দীপ্রভাতের মাথার উপর দিয়ে তুলে দিলেও মোহনবাগানের ডিফেন্ডার গোললাইন সেভ করে দেন। ২৫ মিনিটে কর্ণার থেকে ফাঁকা হেড থেকে গোল করার সুবর্ন সুযোগ মিস করেন ডিফেন্ডার বিলাল। কোনো ডিফেন্ডারই তাকে চ্যালেঞ্জ জানাননি। সমতা ফেরাতে ব্যার্থ হয় মোহনবাগান। অভিজ্ঞ দলের মতই বড় দলের বিরুদ্ধে নিজেদের স্বচরিত্র দেখাচ্ছিল সুরুচি সংঘ। শিবম মুন্ডাকে ডান দিক থেকে বা দিকে নিয়ে আসার পর কিছুটা আক্রমণ বাড়ছিল মোহনবাগানের। ৮৬ মিনিটে একটি বুদ্ধিদীপ্ত কর্নার থেকে ব্যাক ফ্লিক থেকে গোল শোধ দেন পরিবর্ত হিসেবে নামা তুষার বিশ্বকর্মা। তুষারের গোলেই লক্ষ্যভেদ করতে পারলেন না রঞ্জন ভট্টাচার্য্য। গোলটি শোধ দেওয়ার পর অগ্রগমনের উদ্দ্যেশ্যে মরিয়া হয়ে ওঠে মোহনবাগান। ৯০+২ মিনিটে জয়সূচক গোল করে ব্যর্থ হয় সুরুচী সংঘ। তাদের শট পোস্টে লেগে ফিরে না আসলে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়তে পারতেন রঞ্জন। তুষারের গোলে একপ্রকার হার বাঁচালো মোহনবাগান।

Comments :0

Login to leave a comment