জয়েন্টের ফল প্রকাশ এবং কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত ক্লাস শুরু করার দাবিতে রাজ্য জুড়ে সই সংগ্রহ করবে এসএফআই। বৃহস্পতিবার এসএফআইয়ের রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালো এসএফআই।
এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘রাজ্যে জুড়ে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। মেডিক্যাল কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি বন্ধ। সরকার আটকে দিয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। বিকাশ ভবনে আমরা গিয়েছিলাম জানতে কবে থেকে কলেজে ক্লাস কবে শুরু হবে, কলজে ভর্তি কবে শেষ হবে? জয়েন্ট পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশ হবে? কিন্তু সেই কথা জানতে গিয়ে পুলিশের লাথি জুটেছে ছাত্র ছাত্রীদের।’’
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘সরকারের জন্য লোকে বাধ্য হচ্ছে অন্য রাজ্যে চলে যেতে শিক্ষার জন্য, কাজের জন্য। যতবার সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে সে ছাত্র হোক বা সাধারণ মানুষ তাদের ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে পুলিশি আক্রমণ। মেদিনীপুর কলেজের ছাত্রী এসএফআই কর্মী সুচরিতাকে থানায় নির্যাতন করা হয়। হাইকোর্ট আজ সেই বিষয়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এরপরেও বিকাশ ভবন অভিযানের দিন একই আক্রমণ করা হয়েছে। কর্মসূচির শুরু আগেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনেককে। মারধর করা হয়েছে। থানা থেকে ছাড়াতে গেলেও রাস্তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারের দুর্নীতি ঢাকার জন্য পুলিশ এই কাজ করছে। ছাত্রকে বুকে লাথি মারা হয়েছে। যে মেরেছে সে পুলিশের পোশাকে ছিল না।’’
উল্লেখ্য ছাত্রকে লাথি মারার ভিডিও প্রকাশ করে গণশক্তি ডিজিটাল। সেই ভিডিও দেখা যায় সাধারণ পোশাকে একজন ব্যাক্তি এক ছাত্রকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় বুকে লাথি মারছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর ছবি প্রকাশ করেছে এসএফআই।
দেবাঞ্জন দে জানান, আক্রান্ত ছাত্র পুলিশের কাছে এই ঘটনায় অভিযোগ জানিয়েছে। বেহালার একটি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার চিকিৎসার বয়ান প্রকাশ করা হয়েছে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, ‘ন্যায্য দাবি আটকাতে পুলিশের এই ভূমিকা। টেট পরীক্ষার্থীদের সাথেও একই আচরণ করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়েও আইনি লড়াই হবে।’
কারমাইকেল হোস্টেলের ছাত্র নিগ্রহ নিয়েও সরব হয়েছে এসএফআই রাজ্য নেতৃত্ব। দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংখ্যালঘু ছাত্ররা কারমাইকেল হোস্টেলে থেকে লেখা পড়া করে। গতকাল রাতে একদল দুষ্কৃতী তাদের ওপর বাংলাদেশী বলে চড়াও হয়। অন্য রাজ্যে যেই ভাবে গরীব, পরিযায়ী শ্রমিক, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এই রাজ্যেও একই ঘটনা ঘটছে। এখন কলকাতায় ছাত্ররা নিরাপদ নয়। এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। কর্তৃপক্ষকে গ্যারান্টি দিতে হবে ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপত্তার।’
এসএফআই নেতৃত্ব বলে, ‘বিজেপি, আরএসএস এবং তৃণমূলের প্রচ্ছন্ন মদতে এই আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। পুলিশ কেন অভিযোগ প্রথমে নিতে চায়নি? কলকাতার বুকে এই ধরনের ঘটনা কি করে ঘটে? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায় নিতে হবে। শোনা যাচ্ছে এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দেরও খুঁজে বের করতে হবে।’
SFI
কলেজ খোলার দাবিতে সই সংগ্রহ করবে এসএফআই, পুলিশি হামলার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ

×
Comments :0