Job Seekers Protest

বঞ্চনার প্রতিবাদে শিলিগুড়ি ও পুরুলিয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ

জেলা

জেলা শিক্ষা দপ্তরের সামনে নতুন পরীক্ষার্থীদের অবস্থান-বিক্ষোভ।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি এবং নতুন চাকরিপ্রার্থীদের সাথে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন সেকেন্ড এসএলএসটি ২০২৫ ফ্রেশারদের একদল চাকরি প্রার্থী। বুধবার হাতে ব্যানার ও বিভিন্ন দাবিদাওয়া সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে উত্তরকন্যা অভিযানের কর্মসূচিতে যোগ দেন। একই অভিযোগে এদিন পুরুলিয়া জেলা শিক্ষা দপ্তরের বাইরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান এস এল এস টি ফ্রেসার চাকরিপ্রার্থীরা। এই অন্যায় ও বঞ্চনার প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল সংঘটিত হয়। মিছিল শেষে  জেলা শিক্ষা দপ্তরের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। পাঁচ দফা দাবিতে বিদ্যালয়ে পরিদর্শক (উচ্চ মাধ্যমিক)’র কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। অভিযোগ, নতুন চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষায় ৭০ এ ৭০ নম্বর পেয়েও ডাক পাননি। অথচ অভিজ্ঞতার নামে ১০ নম্বর করে দেওয়া হচ্ছে পুরোনো চাকরিপ্রার্থীদের। সকলেই সমান অধিকারের আদায়ের দাবিতে এদিন জেলা শিক্ষা দপ্তরের বাইরে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হলেন।
শিলিগুড়ির চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, পূর্নমান পাবার পরেও ইন্টারভিউতে ডাক পাননি এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কারণে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। জাস্টিস ফর ফ্রেশার্স লেখা ব্যানার নিয়ে এদিন বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট বার্তা দেন ন্যায্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিন শিলিগুড়ি জলপাইমোড় এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা উত্তরকন্যার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনবাত্তিমোড় এলাকায় মিছিল পৌঁছালে ব্যারিকেটড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে আটজনের একটি প্রতিনিধি দল উত্তরকন্যায় গিয়ে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন। পূর্নমান পাবার পরেও ইন্টারভিউতে ডাক না পাওয়া, দীর্ঘ প্রায় দশ বছর পর এসএলএসটি হলো, কিন্তু শূন্যপদ সেই তুলনায় নেই বললেই চলে। ফ্রেশার্সদের স্বার্থে সিট সংখ্যা ১লক্ষ করা, স্বচ্ছভাবে নিয়োগ, যারা ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছে তাদের ওএমআর জনসমক্ষে আনা হোক ইত্যাদি দাবিগুলো তুলে ধরা হয়েছে স্মারকলিপিতে। 
বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, এসএলএসটি পরীক্ষায় ঘোষিত ৭০ নম্বরের স্ক্রুটিনি অনেকেই করাতে পারছেন না। সেবিষয়ে নজর দেবার পাশাপাশি দ্বিতীয় এসএলএসটি’তে সঠিক অনুপাত অণুযায়ী প্রার্থী বাছাই ও দ্রুত মেধা তালিকা প্রকাশ, নিয়োগপত্র প্রকাশ এবং ও এমআর স্ক্রিপ্টের সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
পুরুলিয়ায় বীনাধর কুমার নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানবিকতার কথা বলেন তাঁর আমলে অযোগ্যদের হয়ে উনি কথা বলেন। অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা শিখেছি। যারা ঘুষ নিয়ে চাকরি দিয়েছে তাদের দায় সবাইকে নিতে হচ্ছে। এই সরকারের জন্য আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি। ৭০ এর মধ্যে ৭০ পেয়েও কেন আমরা ডাক পাব না। তাহলে কি বুঝতে হবে যে টাকা রোজগারের জন্য সরকার পরীক্ষা নিয়েছিল। ফ্রেসারদের সাথে এই অন্যায় অবিচার দ্বিচারিতা কেন করা হলো। আরেক চাকরিপ্রার্থী নয়নতারা মাহাতো বলেন কষ্ট করে শিক্ষিত হয়েছি শিক্ষক হওয়ার জন্য। এটা আমাদের আবেগের জায়গা। যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের অনেকেই যোগ্য ছিলেন। তাদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া উচিত। কিন্তু ফ্রেশারদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা হলো কেন। ফ্রেসারদের আলাদা তালিকা তৈরি করতে পারতো সরকার।

Comments :0

Login to leave a comment