প্রতীম দে ও অরিজিৎ মণ্ডল
ধর্মতলা থেকে কলেজ স্ট্রিট অভিমুখে শুরু হয়েছে বামপন্থীদের মিছিল। অতি বর্ষার দিনে কলকাতার বুকে পরপর দশ নাগরিকের দেহ মিলেছে। বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে সকাল থেকে একের পর এক মৃত্যূর খবরে চমকে উঠেছে কলাকাতা। চমকে উঠেছে গোটা দেশ।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলী সদস্য অনাদি সাহু বলেছেন,
ঠিকা কর্মী দিয়ে কাজ করাচ্ছে কর্পোরেশন, একই কায়দায় কাজ করছে সিইএসসি। দক্ষ কর্মীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। কম মজুরি দিয়ে অথবা আউটসোর্সিং করে কাজ চালাবেন ঠিক করেছে এরা, তার পরিণাম পরপর মৃত্যু।
তিনি বলেছেন, মৃত্যুর দায় যেমন সিইএসসি’র, তেমনই দায় রয়েছে সরকার-কর্পোরেশনের। তিনি বলেন, দুনিয়ার মানুষ দেখেছে, দেশের মানুষ দেখেছে রাজধানী শহরের কী হাল। তিনি বলেছেন, নিকাশি ব্যবস্থার হাল কতটা বেহাল হয়েছে তা দেখিয়েছে মঙ্গলবারের বৃষ্টি। তিনি বলেন, দেশের সরকারকেও নজর দিতে হবে। কলকাতার মতো শহরের ক্ষেত্রে তাদেরও
কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক এবং সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেছেন, বৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়েছে। কিন্তু এবারই তা প্রথম নয়, এবারই সর্বোচ্চ নয়। ভুল তথ্য দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার চেয়েও বড় কথা সকাল থেকে একের পর এক মানুষের মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। সিইএসসি’র ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন হলো ব্যবস্থা কী নিয়েছেন। নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলকে টাকা দিয়েছে এই সিইএসসি’র মালিকরা। দায় এড়াতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী, দায় এড়াতে পারবেন না মেয়র।
সিপিআই(এম) নেতা তরুণ ব্যানার্জি বলেছেন, আমরা কর্পোরেশন, সরকার এবং রাজ্য সরকারকে যেমন দোষারোপ করছি, যেমন ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, পুনর্বাসনের দায়িত্ব পালনের দাবি জানাচ্ছি। আবার আমরা সামাজাকি দায়বদ্ধতা নিয়ে আমরা বামপন্থীরা মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছি। আজকের মিছিল কেবল দোষারোপের জন্য নয়, তেমনই মানুষের কাছে প্রচার নিয়ে যেতে চাই যে আর্ত মানুষের পাশে থাকার মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
বক্তব্য রেখেছেন সিপিআই (এমএল) লিবারেশন নেতা দিবাকর ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা বাবলু ভট্টাচার্য প্রমুখ।
Comments :0