র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আত্মঘাতী জাতীয় প্রতিষ্ঠান আইআইএসইআর’র ছাত্র। কল্যাণী ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চুপ রয়েছে। শনিবার পরিবারের সঙ্গে হরিণঘাটা থানায় গেলেন এসএফআই নেতৃবৃন্দ। পরিবার এফআইআর করতে থানায় গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইএসইআর)’র কল্যাণী ক্যাম্পাসে মারা গিয়েছেন এই গবেষক-ছাত্র। পিএইডি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। বাড়িতে খবর যায় যে তিনি অসুস্থ। পরিজনেরা আসার পর জানানো হয় যে তিনি মারা গিয়েছেন কল্যাণী এইমস হাসপাতালে। পরিবার জানিয়েছে যে আচমকা হৃদরোগ মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন চিকিৎসকেরা। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে বাড়ি অনমিত্রের।
মৃত্যুর পিছনে র্যাগিংয়ের অভিযোগ জোরালো। অনমিত্র নিজেই সোশাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগে জানান যে এক সহপাঠী নিয়মিত তাঁদের কয়েকজনকে হেনস্তা করে চলেছে। প্রতিষ্ঠানের র্যাগিং রোধ সেল এবং সুপারভাইজরকে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন বলেছেন, ‘‘বাধ্য করা হয়েছে এই মেধাবী ছাত্রকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিতে। এমন ছাত্রের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে গেল।’’
তিনি বলেন, ‘‘আইটিটি-তে গত কয়েক মাসে পাঁচ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অপরাধ সিন্ডিকেটে সক্রিয়। ছাত্রছাত্রীদের অনেককে অবসাদের পথে ঠেলে দিচ্ছে। আইআইএসইআর কর্তৃপক্ষ কোনও বিবৃতি দেয়নি।’’
এদিন কল্যাণী এইমস'র মর্গে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় এসএফআই নেতৃত্বকে। দেবাঞ্জনের সঙ্গে এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রনয় কার্য্যী এবং সংগঠনের নেতৃত্ব ছিলেন।
এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাাগিংয়ের শিকার এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল।
দেবাঞ্জন বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নেই? কেন অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে কর্তৃপক্ষ কথা বলল না কেন? অ্যান্টি র্যাাগিং সেল তা’হলে কী করতে আছে? প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে এই মৃত্যু। প্রতিষ্ঠানকে জবাব দিতে হবে।
SFI Kalyani Suicide
র্যাগিংয়ে আত্মঘাতী আইআইএসইআর’র ছাত্র, কল্যাণীতে পরিবারের পাশে এসএফআই

×
Comments :0