CPI(M) RALLY HARIPAL

দেশ বাঁচাতে শক্তি বাড়ান লালঝান্ডার: আহ্বান হরিপালে

রাজ্য জেলা

রবিবার হুগলীর হরিপালের জনসমাবেশে মহম্মদ সেলিম। ছবি: শুভ্রজ্যোতি মজুমদার

অনন্ত সাঁতরা, হরিপাল
‘লাল হটাও’ স্লোগান উঠেছিল। লাল হটেছিল, দেশ বাঁচেনি। আজ দেশ বাঁচাতে হলে লালঝান্ডাকে মজবুত করতে হবে।
রবিবার হুগলীর হরিপালে এই মর্মে আহ্বান জানিয়েছে সিপিআই(এম)। এদিন সিপিআই(এম) হুগলী জেলা কমিটির ডাকে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ প্রমুখ।
সেলিম বলেন, ‘‘ওরা বলেছিল লাল হটাও দেশ বাঁচাও। লাল হটল কিন্তু দেশ বাঁচল না। বামফ্রন্ট সরকার কী চেয়েছিল। কলকারাখানা হোক, বেকার ছেলেমেয়েরা কাজ পাক। বিজেপি, তৃণমূল, জামাত, জমিয়ত, কংগ্রেস সব এককাট্টা হয়েছিল। বলেছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বার করে দাও। সব ঠিক হয়ে যাবে। হলো না। দেশ বাঁচল না।’’ 
সেলিমের আহ্বান, ‘‘আজ যদি দেশ বাঁচাতে হয় লালঝাণ্ডাকে মজবুত করতে হবে।’’  
শ্রীদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দেশকে স্বাধীন করার জন্য প্রাণ দিয়েছেন আমাদের পূর্বপুরষরা। ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ববাদ আমাদের মর্মবস্তু। আজ দেশের মর্মবস্তুকে বাতিল করে দিচ্ছে আরএসএস-বিজেপি। কেউ তৃণমূল, এমনকি বিজেপি’র পক্ষেও থাকতে পারেন, তাঁদের কাছেও আহ্বান, আপনারা পরিবারের কথা সন্তানের কথা ভাবুন। তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন।  
ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই লোকসভা নির্বাচন ভারতকে মর্মবস্তু রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। সিপিআই(এম) জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই লড়াই করতে চাইছে। এই রাজ্যে আরএসএস বিজেপি’র সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলছে তৃণমূল। আমরা তাই বলছি সারা দেশে আরএসএস বিজেপি’কে হারাতে হবে। বাংলার মাটিতে আরএসএস-বিজেপি’কে হারানো যাবে না যদি না তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো যায়।’’
ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের অত্যাচারে যাঁরা আরএসএস-বিজেপি’র সঙ্গে গিয়েছেন তাঁদেরও আহ্বান লালঝান্ডার পাশে দাঁড়ান।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘মোদী বলেছিলেন বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি দেব। বলতে পারতেন দশ বছরে কুড়ি কোটি বেকারকে কাজ দিয়েছি। বলতে পারছেন না। বলেছিলেন, কালা ধন লায়েঙ্গে। হোয়াটস অ্যাপে বার্তা আসত সুইস ব্যাঙ্কে কার কত কোটি টাকা আছে। এখন আর হোয়াটসঅ্যাপে সেসব বার্তা আসেনা। বলেছিলেন নোটবন্দি, মানে কালা ধন সমাপ্ত। ভ্রষ্টাচার সমাপ্ত। আতঙ্কবাদ সমাপ্ত। ক্যাশলেস। এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে নোট দ্বিগুন আছে।’’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়? কাশ্মীরে মানুষ মারা যাচ্ছে, সংসদে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না। দেশের অর্থনীতি চৌপাট , আদানি ফুলে ফেঁপে উঠছে সে নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না। সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা, আমরা সরকারি স্কুল কলেজ ছিল বলে পড়াশোনা করেছি। আজ মোদী মমতা মিলে সরকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তুলে দিতে চাইছে। ভৌিসি নিয়ে কুস্তি হচ্ছে। আসলে ঝগড়া না। দু’জনে মিলে সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা তুলে দিতে চাইছে। ফাইভ স্টার স্কুল কলেজ হবে। এয়ারকন্ডিশনড, সুইমিং পুল। গ্রামের খেতমজুরের ঘরের, শহরে শ্রমিকের ঘরের ছেলেমেয়েরা পড়তে পারবে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment