Subarnarekha Erosion

সুবর্ণরেখার গ্রাসে খেলার মাঠ কৃষি জমি, আতঙ্কে মালিঞ্চা গ্রাম

জেলা

চিন্ময় কর- ঝাড়গ্রাম
সুবর্ণরেখা নদী গর্ভে খেলার মাঠ। প্রায় ১২০০ মিটার দীর্ঘ পাড় জুড়ে ব্যাপক ভাঙন। পাড় সংলগ্ন চাষের জমি, ফলের বাগান মিলিয়ে ২০০ বিঘার বেশি জমি নদী গর্ভে। ঘটনায় আতঙ্কে ২৭০ টির বেশি পরিবার। বিপন্ন ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর থানার মালিঞ্চা গ্রাম। গ্রামবাসীদের দাবি দ্রুত ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নিক সরকার। তাদের আশঙ্কা যে হারে ভাঙন হয়ে নদী গ্রামের দিকে ধেয়ে আসছে তাতে পুরো গ্রামটি নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা অচিন্ত্য বারিক, সুকুমার সেনাপতি, বিক্রম সিংহ বলেন, ‘‘গ্রামের আম বাগানটা আর থাকবে না। ইতিমধ্যে একটা পাকার ক্লাব ঘরও নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। বিদ্যুতিক খুঁটিও নদী গর্ভে ঝুঁকি পড়েছে। গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে আর ১০-১২ ফুট ভাঙন হলে ওখানকার ২৩টি পরিবারের বসত বাড়ি, জমি হয়তো নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে। গত কয়েকদিনে নদীর পাড় যেভাবে ভাঙা শুরু হয়েছে তা উদ্বেগজনক। 
সুবর্ণরেখার নদীর স্রোত এখন অনেকটাই কমে জলের স্তরও নেমেছে। আর তার সাথেই এই ভাঙন রবিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে। এখনও সেই ভাঙন চলছে। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভাঙন এলাকলার অসহায় মানুষ। ক্ষোভের সঙ্গে তাঁরা বলেন, ‘‘এই পাড় জুড়ে ও নদীর চরে শয়ে শয়ে লরিতে প্রতিদিন বালি লুঠ করে পাচার হওয়ায় আজ তাদের জীবনে বিপত্তি নেমে এসেছে।  প্রসাশন, নেতা সবারই চোখের সামনে বালি লুঠের ঘটনা হয়েছে। এই ভাঙন গত বছর শুরু হয়।  তবুও এছর বালি লুঠ বন্ধ হয়নি। বালি মাফিয়াদের হুঙ্কার ও অস্ত্র নিয়ে নজরদারীর কাছে মাথা নত করেই পরিবার নিয়ে গ্রামে থাকতে হয়েছে।’’
এই ভাঙন গোপীবল্লভপুর থানার দুইটি ব্লক ও নয়াগ্রাম ব্লক ছাড়িয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন ব্লকেও শুরু হয়েছে। সুবর্ণরেখার নদী পাড় মিলিয়ে সেই ভাঙন ১৪-১৫ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। নদীর গতিপথ ওড়িশার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে এই ব্লক গুলির নদী পাড়ের গ্রাম গুলির দিকে ধেয়ে আসায় উদ্বিগ্ন নদী পাড়ের একের পর গ্রাম।

Comments :0

Login to leave a comment