Tribal teacher insulted

আদিবাসী অধ্যাপিকাকে জাত তুলে অপমান, সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা সাংবাদিকদেরও

জেলা

আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধ্যাপিকাকে জাত তুলে অপমানের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঁধার মুখে সাংবাদিকরা। সোমবার এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলো জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যবাহী প্রসন্নদেব মহিলা মহাবিদ্যালয়, 
উল্লেখ্য, এই কলেজে কর্মরত আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত এক অধ্যাপিকাকে সম্প্রতি কলেজের মধ্যেই জাত উল্লেখ করা অপমান করার অভিযোগ ওঠে কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। এরপরেই অধ্যাপিকা বিষয়টি ওয়েস্ট বেঙ্গল শিডিউল ট্রাইব ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামক কর্মরত আদিবাসী মানুষের সম্মিলিত মঞ্চের নজরে আনেন সেই সংগঠনের তরফের উত্তরবঙ্গের সমস্ত আদিবাসী সংগঠনের নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদের সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
সোমবার সংগঠনের প্রতিনিধিরা বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে আলোচনা করতে যান আগাম বার্তা দিয়ে। এই খবর পেয়ে জলপাইগুড়িতে কর্মরত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরাও কলেজের গেটে উপস্থিত হন সংবাদ সংগ্রহের জন্য। সেই সময় কলেজের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী ও কলেজের ছাত্রী স়ংসদের নেতৃত্ব পরিচয় দিয়ে কিছু ছাত্রী আচমকাই খবর সংগ্রহে যাওয়া এক মহিলা এবং পুরুষ সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। আটকে দেওয়া হয় ট্রাইবাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদেরকেও। দীর্ঘক্ষণ বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী বচসা চালিয়ে যেতে থাকেন কলেজের কিছু ছাত্রীর মদতে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করে একটি স্বারকলিপি প্রদান করে আদিবাসী অধ্যাপিকার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঘটনা প্রসঙ্গে আদিবাসী সমাজের অন্যতম নেতৃত্ব রামলাল মুর্মু বলেন, "এই কলেজের সংস্কৃতের অধ্যাপিকা মনিকা হাসদা একটি বিষয় নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, যে ওনাকে জাতিগত প্রশ্ন তুলে অপমান করা হয়েছে।  সেই বিষয়ে আজ আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রিন্সিপালের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এসেছিলাম, উনি এই ধরনের ঘটনার কথা অস্বীকার করলেন। তবে আমরা দেখলাম ,এখানে খবর সংগ্রহ করতে আসা সাংবাদিকদেরকেও কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছিলো, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।"

Comments :0

Login to leave a comment