গাজায় ইজরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো ৫৯ হাজার জানালো গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক সোমবার জানিয়েছে যে, ২২ মাস ধরে চলা যুদ্ধের কারণে প্যালেস্তিনীয়দের মৃতের সংখ্যা ৫৯,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৫৯,০২৯ জন নিহত হয়েছেন, এবং আরও ১ লক্ষ ৪২ হাজার ১৩৫ জন আহত হয়েছেন। মন্ত্রক উল্লেখ করেছে যে নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি মহিলা ও শিশু।
স্থাস্থ্য মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৪টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। ১ হাজর ১৫৫ জন আহত হয়েছেন। দেহগুলোর মধ্যে চারটি আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল। যেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে। এছাড়া সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ জনই নিহত হয়েছেন গাজার উত্তরাঞ্চল ও গাজা শহরে। ইজরায়েলি হামলায় মোট আহতের সংখ্যাকে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ১৩৫-এ নিয়ে গেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক এদিন জানিয়েছে যে ২১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর প্যালেস্তিনীয় নিহতের সংখ্যা ৫৯ হাজার ২৯ জন। আরও ১ লক্ষ ৪২ হাজার ১৩৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী এবং শিশু।
এই মুহূর্তে গাজায় খাদ্য, জল, ওষুধ ও বিদ্যুৎ নেই বললেই চলে। হাসপাতালগুলো রোগী ভর্তি নিতে পারছে না, কারণ শয্যা নেই, জ্বালানি নেই, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। ইজরায়েলী গণহত্যায় ৫৯,০২৯ জন প্যালেস্তিনীয় মারা গেছেন। আহত ১ লক্ষ ৪২ হাজার ১৩৫ জন। নিখোঁজ কয়েক হাজার। যাঁদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে বলেই আশঙ্কা। সম্প্রতি বহু মানুষই ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইজরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৯৯ জন প্যালেস্তিনীয় নিহত এবং ৬৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। গত ২৭ মে থেকে মার্কিন সমর্থিত ত্রাণ কেন্দ্র থেকে সাহায্য নিতে গিয়ে নিহত প্যালেস্তিনীয়র সংখ্যা ১ হাজার ২১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আরও ৬ হাজার ৫১১ জন আহত হয়েছেন। 
 
Gaza Death
গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৯ হাজার
                                    
                                
                                    ×
                                    
                                
                                                        
                                        
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0