মিথ্যা মামলা ও হুমকি উপেক্ষা করে তৃণমূলের ডাকা শহীদ সমাবেশে গেলেন না গ্রামের কেউই। পাল্টা কাজের দাবী ও গ্রামের বেহাল রাস্তা মেরামতের দাবী নিয়ে লাল ঝান্ডা নিয়ে মিছিল করলেন গ্রামের মানুষ। এদিন মিছিলে মহিলাদের অংশগ্রহন ছিলো নজর কাড়া। ঘটনাটি দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের জোতঘনশ্যাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মশালচক বুথের।
৯ জুলাই ধর্মঘটের দিন গ্রামপঞ্চায়েত দপ্তর বন্ধ করায় তৃণমূলের আক্রমণ হলে পাল্টা প্রতিরোধ করেন গ্রামের মানুষ। সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূল মিথ্যা মামলার হুমকি চলে গতকাল পর্যন্ত। তৃণমূলের কাছে মাথানত করে দলে সামিল হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এমনকি শনিবার রাত পর্যন্ত হুমকি চলে। বলা হয় কলকাতায় তৃণমূলের সমাবেশে না গেলে সাজানো মামলায় জেলে ভরা হবে। সেই হুমকি উপেক্ষা করে গ্রামের কেউই গেলেন না তৃণমূলের সমাবেশে। পাল্টা গ্রামের বয়স্ক মহিলা সহ কৃষক ক্ষেতমজুর মানুষ লাল ঝান্ডা নিয়ে তিনটি বুথের ৫টি মৌজা জুড়ে মিছিল করলেন।
স্থানীয়রা বলেন, "৯ জুলাই ধর্মঘটের দিন তৃণমূল আমাদের মারধর করায় আমরা আহত হই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তৃণমূলের পক্ষ নিলো। আমাদের দাবী ছিলো যে গ্রামপঞ্চায়েত কাজ দিতে পারে না, বেহাল রাস্তা মেরামত করতে পারে না, সেই দপ্তর বন্ধ করে দিন। প্রধান, উপপ্রধান কেউ সেদিন আসেনি দপ্তরে। হঠাৎ করে তৃণমূলের বাইক বাহিনী এসে হামলা চালায়। বয়স্ক মানুষদের উপর আক্রমণ করে। তৃণমূলের আক্রমণের মুখেও চলে প্রতিরোধ হয়। পুলিশ এসে তৃণমূলের পক্ষ নেয়। সেদিন থেকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।"
গ্রামের মানুষ বলেন যে আমরা আর ওদের হুমকি ও সাজানো মামলকে ভয় পাই না। লড়াই হলে হবে। লাল ঝান্ডা নিয়ে লড়াই চলবে এমন বার্তায় এলাকার দুইটি বুথের তিনটি মৌজা জুড়ে হয় মিছিল এবং মচলাচক গঞ্জে হয় পথসভা। সেই সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) নেতা রনজিত পাল, প্রসেনজিৎ দাস প্রমুখ।
Comments :0