Abhisekh Banarjee

বিরোধী শূন্য করা সাংসদ শোনালেন গণতন্ত্রের কথা

রাজ্য

বজবজ পৌরসভা বিরোধী শূন্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয় না বিরোধীদের। সেই এলাকার সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির মুখে শোনা গেলো গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা।
ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, ‘‘৩২ বছর আগে ২১ জুলাই স্বচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিতে ১৩ জন গোটা ভারতের মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার পাইয়ে দিয়েছিল। বাংলার ভোটার লিস্টে কারচুপি করতে দেবো না। দরকার পড়লে তৃণমূলে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করবে।’’
উল্লেখ্য অভিষেক ব্যানার্জি যেই এলাকার সাংসদ সেই এলাকায় বিরোধীদের কোন কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না। ফলতা, বজবজ, ডায়মন্ড হারবারের মতো এলাকা জুড়ে পৌরসভা, পঞ্চায়েত গায়ের জোড়ে দখল করেছে তৃণমূল। লোকসভা হোক বা বিধানসভা প্রতিটা ভোটেই চলে দেদার ছাপ্পা। ভোট দিতে দেওয়া হয় না সাধারণ নাগরিকদের। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন দিতে দেওয়া হয় না। পৌরসভা নির্বাচনে রাতের অন্ধকার বিরোধী প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাপ দিয়ে প্রত্যাহার করানো হয় মনোনয়ন। 
তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘দরকার পড়লে তৃণমূলে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করবে। ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি। কৃষি ভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আসাম সরকার চিঠি পাঠাচ্ছে রাজবংশীদের। আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলছে বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি, বিজেপির নেতারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। দরকার পড়লো আমাদের সাংসদরা সংসদে বাংলায় কথা বলবে। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বাঙালিরা আক্রান্ত।’’
দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ ১০০ দিনের টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল সরকার। পাল্টা রাজ্য সরকারের অভিযোগ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বামপন্থীদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয় ১০০ দিনের প্রকল্পের জন্য কত টাকা কেন্দ্র পাঠিয়েছে এবং কত খরচ হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক দুই সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা কেউ প্রকাশ করতে পারেনি।

Comments :0

Login to leave a comment