উৎসবে অনুভবে
মণ্ডা মিঠাই
শারদীয়ার আনন্দানুভব
আনজু বানু
নতুনপাতা
১ অক্টোবর ২০২৫, বর্ষ ৩
-------------------------------------
"আশ্বিনের শারদ প্রাতে"
শব্দ বন্ধ দিয়ে শুরু বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডি পাঠ।
শুনলেই বুকের মধ্যে বেজে ওঠে পুজোর ঘন্টাধ্বনি।
হাজার কাজের মাঝে তখন চোখ চারিদিকে খোঁজে প্রকৃতির রূপ।শরতের আকাশে সেই পেঁজা তুলো মেঘ,
কাশফুল জলাশয়ে পদ্ম,শালুক। মানুষের সীমাহীন ঔদ্ধত্যে অথবা প্রকৃতির খেয়ালে যদিও এখন শরতেও বর্ষার ছবি।
তবু পুজোর আনন্দ আয়োজন আজও হৃদয়ে দোলা দেয়।
দোকান পাট বাজার হাট সেজে ওঠে ঘর সাজানোর সামগ্রী থেকে নানান পোশাক আসাকে রং বেরঙের পসরায়।
ধনী দরীদ্র নির্বিশেষে সব মানুষ নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে বেরিয়ে পড় প্রতিমা দর্শনে।
রাতভোর রাজপথ থেকে গলিপথ জনজোয়ারে ভেসে ওঠে রাত্রির এক অনন্য চিত্রপট।
আর রাত্রিটা রানি সেজে বসে থাকে সজ্জিত হয়ে আলোর গহনায়।
মহাসপ্তমী থেকে বিজয়াদশমী অবধি (যদিও এখন জন জোয়ার সামাল দিতে কিছু কিছু নামকরা থিমপুজোর মণ্ডপগুলি মহাদ্বাদশী অথবা মহাতৃতীয়া থেকেই প্রতিমা প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকে) জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ সাজসজ্জা খাওয়া দাওয়া আনন্দভ্রমণে আনন্দঘন মূহূর্ত উপভোগ করে।দেবী বরণ ও নানা পূজা উপাচারে দশমির দিন মহিলারা সিঁদুর খেলা শেষে চলে প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি।
প্রতিমা বিসর্জনের পর পরস্পরে সঙ্গে ভ্রাতৃপ্রতিম আলিঙ্গন ও ছোটরা বড়দের প্রণাম করে আশির্বাদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শারদীয়া দুর্গোৎসব।
আবার একটি বৎসর পর
"আশ্বিনের শারদ প্রাতে"
শোনার জন্য উন্মুখ থাকে আপামর বাঙালি।
Comments :0