CEO on SIR

১০ লক্ষ ফর্ম ‘আনকালেকটেবল’, আপলোডের বিশেষ ব্যবস্থার দাবি সিইও’র

রাজ্য কলকাতা

সাংবাদিক সম্মেলনে মনোজ আগরওয়াল।

এসআইআর’র যত ফর্ম বিলি হয়েছে তা থেকে ফেরত আসবে না প্রায় ১০ লক্ষ। সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অনুমান করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। 
আগরওয়াল বলেছেন মৃত, অনুপস্থিত, স্থানান্তরিত এবং একাধিক জায়গায় নাম রয়েছে বলে এই ফর্ম ফেরত মিলবে না বলে বোঝা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এসআইআর-এ কমিশন মৃতদের নামেও ফর্ম বিলি করেছে পরিবারের কাছে। ফর্ম ফেরত না হলে তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার কথা।
সিইও দপ্তর জানিয়েছে যে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭.৬৪ কোটি ফর্ম বিলির তথ্য দিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দপ্তর। যার অর্থ প্রায় ৯৯.৭৬ শতাংশ ফর্ম বিলি হয়েছে বলে দাবি দপ্তরের। কিন্তু এর মধ্যে ফর্ম আপলোড হয়েছে ৪.৫৫ কোটি। 
অর্থাৎ, ৫৯.৪ শতাংশ ফর্ম আপলোড করা হয়েছে। অর্থাৎ বাকি ৯দিনে প্রায় ৪০ শতাংশ ফর্ম আপলোড করতে হবে।
ফর্ম আপলোড করার চাপ নিয়েই বিএলও-রা নাকাল। একাজ করার কথা ছিল না তাঁদের। কমিশনের বক্তব্য রাজ্য প্রস্তাব অনুযায়ী ১ হাজার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করেনি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন রাজ্যের জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে কর্মী রয়েছে। অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করার ক্ষমতাও দেওয়া রয়েছে। কিন্তু সিইও দপ্তর সরাসরি এই নিয়োগে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে বলে তাঁর আপত্তি। সব মিলিয়ে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ আটকেই রয়েছে।
আগরওয়াল বলেছেন, ‘ফেরত আসবে না বা ‘আনকালেকটেবল’ ফর্মম বিলি হওয়া মোট ফর্মের ১.৬৫ শতাংশ। 
৮০ হাজার ৬০০ বিএলও ৮ হাজার সুপারভাইজার, ৩ হাজার এইআরও এবং ২৯৪ ইআরও এসআইআর’র কাজে নিযুক্ত। 
আগরওয়ালের দাবি, জেলাশাসকের দপ্তরের পাশাপাশি ইআরও, এবং বিডিও দপ্তরে বিএলও-দের ফর্ম আপলোড করার হেল্প ডেস্ক রয়েছে। তাঁর দাবি, নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে এমন জায়গায় ওয়াইফাই হাব করা হয়েছে। 
এদিকে এদিনই কলকাতায় সিইও দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিএলও-দের একাংশ। বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করে সিইও দপ্তরে পৌঁছায়।প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি জমা দেয়। তবে তার আগে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়।

Comments :0

Login to leave a comment