উৎসবে অনুভবে
মণ্ডা মিঠাই
" আমার জীবনী আমার বাণী। ----মহাত্মা গান্ধী
ঋষিরাজ দাস
নতুনপাতা
২ অক্টোবর ২০২৫, বর্ষ ৩
-------------------------------------
ভারতের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত অস্থির সময় শান্তির জন্য একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তার বিখ্যাত অনশন এবং অহিংসার বার্তা দেশকে একত্রিত করতে সাহায্য করেছিল । গান্ধীজীর ক্রিয়াকলাপ বিশ্ব মনোযোগের জন্ম দেয় এবং শেষ পর্যন্ত ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতের স্বাধীনতা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব পরাশক্তিতে দেশের উত্থানের দিকে পরিচালিত করে। ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে, ২রা অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে করমচাঁদ গান্ধী এবং পুত্তলীবাঈ - এর সংসারে কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন গান্ধীজি। সত্য সাহসের মন্ত্র ছোট থেকেই পেয়েছিলেন বাবার কাছে এবং মায়ের কাছে পেয়েছিলেন উপবাস ও কঠোর ব্রত পালনের শিক্ষা। নামতা মুখস্ত না করা, হাতের লেখা খারাপ হওয়ার জন্য শিক্ষকদের কাছে অতি পরিচিত মুখ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, শিশু বয়স থেকেই প্রভাবিত হয়েছিলেন রাজা হরিশচন্দ ও রামচন্দ্রের কাহিনী শুনে। প্রহ্লাদের সত্যাগ্রহের পণ তাকে আজীবন সত্যাগ্রহী থাকবার প্রেরণা জুগিয়ে ছিল। গান্ধীজীর বাল্য জীবনের ধর্ম সত্যের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল। সেই বয়সেই খেলার ছলেও তিনি কখনো মিথ্যা কথা বলতেন না। সকলের প্রিয় " বাপু " , যার স্নেহের শব্দ অর্থ " বাবা " ,তথা গান্ধীজী স্বাধীনতার চেয়ে অনেক বেশি লড়াই করেছিলেন নারীদের নাগরিক অধিকার জাতিভেদ প্রথার বিলুপ্তি এবং ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি ন্যায় আচরণ এর জন্য। গান্ধীজি ভারতের সর্বনিম্ন বর্ণের অস্পৃশ্যদের জন্য ন্যায্য আচরণের দাবি করেছিলেন, কারণ তিনি অস্পৃশ্যদের "হরিজন" বলতেন যার অর্থ "ঈশ্বরের সন্তান"। গান্ধীজী আসলে একজন দার্শনিক নৈরাজ্যবাদী ছিলেন এবং ভারতে কোন প্রতিষ্ঠিত সরকার চাননি। তিনি অনুভব করেছিলেন যে প্রত্যেকে যদি অহিংসা এবং একটি ভালো নৈতিক কোড গ্রহণ করে তবে তারা স্ব-শাসিত হতে পারে। তাঁর রাষ্ট্র সম্পর্কে ধারণার মূল ভিত্তি ছিল অহিংসা নীতি। তাঁর মতে হিংসা একটি অশুভ শক্তি এবং এর মাধ্যমে বলপ্রয়োগ ঘটে। ১৯০৮ সালে তাঁর লেখা " হিন্দ স্বরাজ "গ্রন্থের রাষ্ট্র সম্পর্কে তাঁর চিন্তার প্রকাশ ঘটে । তিনি মনে করতেন ব্যক্তি প্রাণময় অর্থাৎ , ব্যক্তির মধ্যে প্রাণ আছে কিন্তু রাষ্ট্র প্রাণহীন, রাষ্ট্রের মধ্যে প্রাণ নেই। তাই রাষ্ট্র ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে বিনাশ করে এবং ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথকে রুদ্ধ করে দেয় রাষ্ট্র বিভিন্ন ধরনের বল প্রয়োগমূলক নীতির মাধ্যমে। তার কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে ব্যক্তি এবং ব্যক্তি সত্তা। জনগণের সার্বভৌমত্বকে তিনি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।
অষ্টম শ্রেণী
কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ উত্তর ২৪ পরগনা
মজুমদার ভিলা, কল্যাণ নগর
খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
Comments :0