JALPAIGURI CAMPAIGN CPI(M)

চা বলয়ে বামফ্রন্টের প্রচারে বাগান অধিগ্রহণ, পাট্টা

রাজ্য জেলা

সোমবার চা শ্রমিকদের মধ্যে প্রচারে দেবরাজ বর্মন। ছবি: প্রবীর দাশগুপ্ত

দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি
 

কেন্দ্র বা রাজ্য, কেউ কথা রাখেনি। চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চালু হয়নি। জমির পাট্টা দেওয়ার নামে মাত্র পাঁচ ডেসিমেল জমি দেওয়া হচ্ছে। সেই জমি দেওয়া হচ্ছে চা-শ্রমিকদের পরিচিত বসবাসের এলাকা দূরে। আসলে কর্পোরেটদের হাতে চা বাগান তুলে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের সরকারও দায়িত্ব নিচ্ছে না।
চা বাগান এলাকায় চা শ্রমিকদের মধ্যে প্রচার চালাচ্ছেন জলপাইগুড়ির বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী দেবরাজ বর্মন। সমস্যা তাঁর কাছে নতুন নয়। চা শ্রমিকদের সঙ্কটের কথা সংসদে তুলতে চান তিনি, জানিয়েছেন শ্রমিকদের।
দেশে রপ্তানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পণ্য চা। দেশে আসে বিদেশি মুদ্রা। তা ছাড়া দেশের মধ্যেও রয়েছে চায়ের বাজার। ২০১৪’তে বিজেপি বলেছিল যে বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণ করে চালু করবে বাগান। উত্তরবঙ্গের একটি বাগানও অধিগ্রহণ হয়নি। শ্রমিকরা বলছেন, কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকার প্রতারণা করেছে। 
লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। একজোটে মঞ্চ গড়ে চলছে লড়াই। সোমবার দেবরাজ বর্মন প্রচার শুরু করলেন সদর ব্লকের ভান্ডিগুড়ি চা বাগান থেকে। সকাল ৭ টার মধ্যে বাগানে পৌঁছে শ্রমিকদের কাজ শুরুর আগে প্রথমে ফ্যাক্টরির গেটের সামনে চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন তিনি। এরপর বাগানে যেখানে চা শ্রমিকরা পাতা তুলছেন সেখানে গিয়ে  চা শ্রমিকদের কথা সংসদে পৌঁছে দিতে ‘হাসুয়া মাতুল তারা’ চিহ্নে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। 
চা শ্রমিক নেতা বরুণ ভূমিজ, অমল নায়েক, জগদীশ মাহাতোরা বলছেন, দেড়শো বছর ধরে চা শ্রমিকরা এই সব বাগানে বসবাস করছেন পারিবারিক পরম্পরায়। চা বাগান গড়ে তোলার তাঁদের কয়েক প্রজন্মের অবদান রয়েছে। এক একজন চা শ্রমিক বসতবাড়ি, পশুপালন, চাষাবাদ মিলিয়ে কম করে দশ বারো কাঠা জমি ব্যবহার করেন। পশুপালন বা চাষে ওপর নির্ভরশীলতা আছে। রাজ্য সরকার বসবাসের এই জমির পাট্টা দিচ্ছে না। শুধুমাত্র ৫ ডেসিমেল জমির পাট্টা দিচ্ছে, মন্ত্রী আমলাদের এনে বিরাট অনুষ্ঠান করছে। 
চা শ্রমিক আন্দোলনের নেতারা বলছেন, শ্রমিকদের বঞ্চিত করে চা বাগানের অব্যবহৃত জমি টি-টুরিজম’র নামে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে চাইছে। বাগান বাঁচাতে বামফ্রন্টকেই জেতাতে হবে। 
প্রার্থী দেবরাজ বর্মন প্রচারে বলেন, ‘‘২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নিজে উত্তরবঙ্গের  বন্ধ ৮টি চা বাগান অধিগ্রহণের কথা বলেছিলেন। একটি বাগানও অধিগ্রহণ করা হয়নি। বরং বহু বাগান এখন বন্ধের মুখে। চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা, ন্যূনতম মজুরির অধিকারের আইনের জন্য সংসদে বামপন্থী প্রতিনিধিদের প্রয়োজন। চা শ্রমিকদের আওয়াজ আমরা সংসদে  পৌঁছে দিয়ে তাদের দাবিকে আইনে পরিণত করব।’’

Comments :0

Login to leave a comment