KMC worker protest

বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই ন্যূনতম মজুরির দাবিতে কর্পোরেশন অভিযানে শ্রমিকরা

কলকাতা

একদিকে এলাহি ভাবে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কলকাতা কর্পোরেশনের বাজেট অধিবেশন। অন্যদিকে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার মতো বেতন পাচ্ছেন না কলকাতা কর্পোরেশনের  চুক্তিভিত্তিক, অস্থায়ী, ক্যাজুয়াল এবং ১০০ দিনের প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকরা। এরই প্রতিবাদে সোমবার কলকাতা কর্পোরেশনের মূল ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এই শ্রমিকরা।

সিআইটিইউ অনুমোদিত কলকাতা কন্ট্রাক্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং কলকাতা জেলা সিকিউরিটি অ্যান্ড অ্যালায়েড সার্ভিসেস ওয়ার্কম্যান ইউনিয়নের নেতৃত্বে এদিনের কর্মসূচি সংগঠিত হয়। এই কর্মসূচিকে সংহতি জানায় কেএমসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, কেএমসি ক্লার্কস ইউনিয়ন এবং কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠক ইউনিয়নগুলির নেতৃবৃন্দের দাবি, বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে খুবই সামান্য বেতন পান এই শ্রমিকরা। তাই অবিলম্বে তাঁদের ২৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে এই শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইএসআই সহ অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনারও দাবি জানান তাঁরা। একইসঙ্গে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োজিত ঠিকা শ্রমিকরাও চরম বঞ্চনার মুখোমুখি হচ্ছেন নিয়মিত। এর পাশাপাশি মিড ডে মিলের কর্মীরা মাসে ১৫০০ টাকা বেতন পান, তাও বছরে ১০ মাস। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তাঁদের ন্যূনতম ৯৩০০ টাকা বেতন দিতে হবে।

এর পাশাপাশি ১০০ দিনের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২০২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৭২ টাকা করার দাবিও জানানো হয় এদিনের বিক্ষোভ সভা থেকে। এদিন বেলা ৩টে নাগাদ কর্পোরেশনের সামনে জমায়েত হন চুক্তিভিত্তিক, ১০০ দিনের কর্মী এবং ক্যাজুয়াল শ্রমিকরা। তারপর মিছিল করে কর্পোরেশনের পাশের গলিতে সভা সংগঠিত করেন তাঁরা। শ্রমিক নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, কলকাতা কর্পোরেশনের নানা বিভাগের আওতায় ৩০ হাজারের বেশি চুক্তিভিত্তিক, ক্যাজুয়াল এবং ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকরা নিয়োজিত রয়েছেন। তাঁদের একটা বড় অংশ এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।

Comments :0

Login to leave a comment