সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৬। কেননা গঙ্গোত্রীর রাস্তায় ধরালি গ্রামে মাত্র ছয়জনের দেহই উদ্ধার করতে পেরেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন কাদার নিচে অন্তত দুশো দেহ রয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এখন নজর দিয়েছে চারধাম যাত্রার রাস্তা খুলে দিতে। গঙ্গোত্রী অভিমুখে উত্তরকাশির এই রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে আপাতত। কিন্তু বিপর্যয়ের উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তা খুলে দেওয়ার তোড়জোড়ে স্থানীয়দের একাংশ ক্ষুব্ধ।
গত পাঁচ আগস্ট প্রবল বন্যায় ধরালি গ্রামের অর্ধেকের বেশি অংশ ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে। স্থানীয়রা তো বটেই, কেরালা বা মহারাষ্ট্রের মতো বিভিন্ন রাজ্য থেকে পর্যটকরা এসেছিলেন গঙ্গোত্রী যাত্রায়। তাঁদের অনেককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই রাজ্যগুলি থেকে তাঁদের পরিজনরা এসে আশেপাশে হোটেলে ভাড়া নিয়ে রয়েছেন।
গ্রামের পাশে ক্ষীর গঙ্গা শাখা নদীর রাস্তা একেবারে বুজে গিয়েছিল বিপর্যয়ের পর। সেই রাস্তা চালু করেছে এনডিআরএফ।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দাবি, র্যাডার এবং কুকুরের সাহায্যে মাটির গভীরে দেহ থাকলে তা বের করা সম্ভব। উদ্ধার কাজে ওয়াকিবহাল কোন কোন অংশের মত, রাডারে প্রায় ক্ষেত্রেই বোঝা যায় না নিচে কোন অংশটি চিহ্নিত। মানব দেহ না ভেঙে পড়া বাড়ির অংশ, নির্দিষ্ট করা কঠিন হয়।
Dharali
অন্তত ২০০ দেহ কাদার নিচে, বলছেন ধরালির বাসিন্দারা

×
Comments :0