Bardhaman Accident

বর্ধমানে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

জেলা

ভেঙেচুরে যাওয়া সেই বাস।

পার্থপ্রতীম কোঙার

বর্ধমানে লরির পিছনে বাসের ধাক্কায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১। শনিবার আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত শুক্রবার বর্ধমান থানার ফাগুপুরের কাছে জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে ধাক্কা দেয় বাসটি। বাসে দর্শনার্থীরা ছিলেন। মৃতদের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দু'জন মহিলা। জখম হয়েছে ৩৫জন। জখমদের মধ্যে ছ’টি শিশু রয়েছে। আহতদের প্রত্যেককেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি কার হয়েছে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাসযাত্রীদের বাড়ি বিহারের মোতিহারে। শুক্রবার সকালে গঙ্গাসাগর থেকে বিহারের রাজগীর হয়ে বাড়ি ফেরার সময় বর্ধমানের ফাগুপুরের কাছে বাসটি দাঁড়িয়ে থাকা একটি  লরির পিছনে ধাক্কা মারে। 
শুক্রবারই ১০ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম যাত্রী সঞ্জয় পাসোয়ান বলেন, ৮ আগস্ট আমরা বিহারের মোতিহার থেকে দেওঘরের বাবাধাম গিয়েছিলাম। সেখানে থেকে গঙ্গাসাগরে স্নান করে শুক্রবার বিহারের রাজগীর যাওয়ার কথা ছিল। রাজগীর ঘুরে তারপর বাড়ি ফিরতাম। কিন্তু, তার মধ্যেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা ঘটে গেল। তিনি আরও বলেন, বাসে মোট ৪৫জন ছিলাম। 
হাসপাতালের সুপার ডাঃ তাপস ঘোষ বলেন, ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৫জন জন জখম। মৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা ও আটজন পুরুষ। তবে, হাসপাতালে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের চিকিৎসক এবং কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে জখমদের চিকিৎসা শুরু করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, বাস চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই দুর্ঘটনা হয়েছে। বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। 
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জাতীয় সড়কের উপর বহু লরি এভাবে দীর্ঘক্ষণ অযথা দাঁড়িয়ে থাকে। তার জেরে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এটা প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। দুর্ঘটনা ঘটলে তখন প্রশাসন তৎপরতা দেখায়। বাকি সময় প্রশাসনের হুঁশ থাকে না।

Comments :0

Login to leave a comment