কবিতা
মুক্তধারা
স্বাধীনতা কারে কয়?
সৌম্যদীপ জানা
নতুন বন্ধু
১৩ আগস্ট ২০২৫ / বর্ষ ৩
১৫ ই আগস্ট ১৯৪৭ সময় মধ্যরাত,
লালকেল্লায় জনসমুদ্র ভুলে ধর্ম জাত।
রক্তে লেখা স্বপ্নে দেখা স্বাধীনতা লাভ হলো,
উড়ন্ত ত্রিরঙ্গা দেখি সংগ্রাম শেষ হলো।
শত বর্ষের ত্যাগ ,রক্ত ,সংগ্রামের বিনিময় ,
ভারত বর্ষ স্বাধীন হয়েছে ভুলে সব পরাজয়।
গান্ধী ,নেতাজি, তীলকমান্য প্রমুখ অধিনায়ক
অথবা খুদি ,উধম আর চাফেকরেরা মহান স্বাধীনতার সাধক,
ভারত মাতার লক্ষ বীরের আত্ম বলিদান,
ইংরেজ সরকারের সিংহাসন কে করেছে যে খান খান।
কত মায়ের কোল খালি হলো, কত বোণ হলো স্বামীহারা।
লক্ষ শিশু পিতারে হারালো, দিয়ে দেশের ডাকে সাড়া।
স্বাধীনতার লক্ষ্যে শত শত নরনারী করল যে বলিদান ,
স্বপ্নের স্বাধীনতার লক্ষে তারা দিয়েছে নিজের প্রাণ।
ইংরেজরা, চেষ্টা করেছে আমাদের দমাতে।
পারেনি তারা, ভারত মাতার আশীর্বাদ রুখতে।
দেশ মাতৃকার আশীর্বাদে আমরা লড়াই করেছি,
ইংরেজদের রাজত্বের দর্প চূর্ণ আমরাই করেছি।
রক্তে রাঙ ,স্বপ্নে দেখা, সেই ভোর এলো অবশেষে ,
আসমুদ্রহিমাচল এক হৃদয়ে এসেমেশে।
সংগ্রাম, বলিদান আর বীরত্বের ফল।
আজ আমরা ভোগ করছি স্বাধীনতার হওয়া ,জল।
কিন্তু খাতায় কলমের স্বাধীনতা বড় যে ঠুমকো।
ব্রিটিশরা গেলেও আমাদের আজও সহস্র দুঃখ।
দুর্নীতি আর অরাজকতা এখনও আমরা পরাধীন।
এই নৈরাজ্য যে ব্রিটিশ শাসনের থেকেও যে হীন!
যতীন দাস ,মাস্টার দা আর বীর ভগত,
শহীদ হয়ে করেছিল সেই মহান শপথ,
সোনার ভারত গড়বো মোরা, জগত সেরা হব,
পরের অনুকরণে মোরা কি করে শ্রেষ্ঠ হব?
ইংরেজ বিদায় হয়েছে আশি বছর আগে,
খাতায়-কলমে স্বাধীনতা পেয়ে ভারত ভেসেছে অনুরাগে।
কিন্তু আমরা স্বাধীন হয়েও পাইনি যে সেই জয়!
স্বাধীন মানে চির সুখী কিন্তু স্বাধীনতা কারে কয়?
নবম শ্রেণী, কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
Comments :0