সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ভবনে হামলা, অগ্নিসংযোগ লুটপাটের ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার রাতে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ছায়ানটের প্রধান ব্যবস্থাপক দুলাল ঘোষ। রবিবার সকালে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সাইফুল ইসলাম এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, 'ধানমন্ডি থানায় হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর রাতে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলায় ৩০০ থেকে ৩৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ছায়ানটের প্রধান ব্যবস্থাপক দুলাল ঘোষ।'
ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে এই তান্ডব সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। হাসপাতাল থেকে কবরস্থান শ্মশান কোথাও নিরাপদ নয়। শান্তিতে নোবেল পাওয়া ইউনুসকে নিয়ে সমালোচনাও চলছে বিশ্ব ব্যাপি। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব দেশের সকলকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন।
এদিন ছায়ানট কর্তৃপক্ষ জানান, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার রাতে দুষ্কৃতীরা ছায়ানট ভবনের ভেতরে ঢুকে সিসিটিভি ক্যামেরা, আসবাবপত্রসহ তবলা, হারমোনিয়াম, বেহালা এবং বিভিন্ন কক্ষে হামলা চালায়। একপর্যায়ে এসব জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে ছায়ানট নামক এই সাংষ্কৃতিক সংগঠনটির বিভিন্ন তলায় নানা ধরণের বাদ্যযন্ত্র, পোস্টার সহ নানা বিধ দ্রব্য সামগ্রী পুড়ে গেছে এবং লুট হয়েছে যার আনুমানিক মুল্য প্রায় কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন। ঘটনার পর ছায়ানট ভবন পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকি। তিনি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে উগ্র মৌলবাদী সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই সময় ‘দ্য ডেইলি স্টার’, ‘প্রথম আলো’ সংবাদপত্র এবং ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পুলিশ জানিয়েছে
ধৃতদের নাম মহম্মদ. লিমন সরকার (১৯), মহম্মদ তারেক হোসেন (১৯), মহম্মদ মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) এবং মহম্মদ মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)।
র্যাব-১৪ জানায়, শনিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান ওসমান হাদির হত্যাকারী ফয়সাল সম্পর্কে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন অভিযুক্ত দেশের বাইরে চলে গেছে, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্যও তাঁরা পাননি। অনেক সময় অপরাধীদের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।
Chhayanaut Attack
ছায়ানটে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের
×
Comments :0