REGA Protest

গ্রামীণ কর্মসংস্থানের দাবিতে কলকাতায় মিছিল কৃষক, খেতমজুরদের

রাজ্য কলকাতা

মানুষের হাতে কাজ নেই; গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জোড়ালো দাবি তুলে মঙ্গলবার এমএন রেগা সংঘর্ষ মোর্চা’র ডাকে রাজভবন অভিযান করলেন খেতমজুর এবং কৃষকরা। তাঁদের দাবি, ক্ষেতমজুরদের ১০০দিনের কাজের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। ফসল কাটার ৬০দিন কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। দাবি, মনরেগা’র নিয়মবিধি অনুযায়ী কাজের প্রয়োজনের কথা সরকারকে জানালেই কাজ দিতে হবে ক্ষেতমজুরদের। এরই পাশাপাশি ন্যূনতম ৬০০ টাকা মজুরি সহ ২০০ দিনের কাজের দাবিকে নিশ্চিত করতে হবে। মূলত মোদী সরকারের কৃষক স্বার্থ বিরোধী জিরামজি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে এবং ২০০৫ সালে প্রণীত রেগা আইনের মৌলিক চরিত্র পরিবর্তনের বিরোধিতায় এমএন রেগা সংঘর্ষ মোর্চা’র এই প্রতিবাদ কর্মসূচীকে সমর্থন জানিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা পশ্চিমবঙ্গ শাখা ও রাজ্যের বামপন্থী দল সমূহ। কলকাতায় কেন্দ্রীয়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছাড়াও মঙ্গলবার জেলায় জেলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
সংযুক্ত কিষান মোর্চার পশ্চিমবঙ্গ শাখার যুগ্মআহ্বায়ক অমল হালদার ও কার্তিক পাল সোমবার এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচিকে সর্বাত্মক সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, মঙ্গলবারের এই কর্মসূচিতে শামিল হবেন সিপিআই(এম), সিপিআই, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন, আরএসপি, এফবি, আরসিপিআই, এমএফবি, বলশেভিক পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি সহ বামদলগুলির নেতৃত্ব ও কর্মী সদস্যরা।
সম্প্রতি বিরোধীদের সমস্ত আপত্তিকে নস্যাৎ করে অন্যায়ভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার লোকসভায় পাশ করিয়েছে ভিবিজি রামজি বিল। নেতৃবৃন্দের বক্তব্য, এই বিল অনুযায়ী মনরেগার মৌলিক চরিত্রের পুরোদস্তুর পরিবর্তন ঘটিয়ে রেগার কাজকে এমন এক প্রকল্পের আকারে আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, যার মধ্যে সরকার যখন যেখানে যতটুকু মজুরিতে কাজ করতে নির্দেশ দেবে সেই নির্দেশ মেনেই কাজ করতে বাধ্য হবেন ক্ষেতমজুররা। নেতৃবৃন্দের বক্তব্য, পঞ্চায়েত স্তরে রেগার শ্রমিকদের স্বাধিকারের ক্ষেত্রগুলিকে নস্যাৎ করে কেন্দ্র নির্ভর প্রকল্প হিসাবে আরম্ভ হবে ১০০ দিনের কাজ। পাশাপাশি বরাদ্দ কমিয়ে রাজ্যগুলোর ওপর অতিরিক্ত ব্যয়ভার চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে বিলে। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪ বছর রেগার কাজ বন্ধ। তার মধ্যে অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ ব্যায়ভার আরোপ করলে কাজ আরম্ভ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কর্তৃক আরো বেশি টালবাহানা হবে বলে আশঙ্কা ক্ষেতমজুরদের।

Comments :0

Login to leave a comment