পূজা বোস ও অরিজিৎ মণ্ডল
সাম্প্রদায়িক বিজেপি-আরএসএস' র বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রাম চালাচ্ছে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। আর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধেও চালাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। ভোট মহিলাদেরও অধিকার। সেই অধিকার কেড়ে নিতে চাইলে বুথে বুথে লড়াই গড়ে তুলতে হবে। মোদী এবং মমতা ধর্ষকদের শাস্তি দেন না। সে কারণেই বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় ধর্ষকরা।
রবিবার ধর্মতলায় সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে এই মর্মে আহ্বান জানিয়েছেন প্রবীণ মহিলা নেত্রী বৃন্দা কারাত। তিনি বলেছেন,
তিনি বলেছেন, মহিলাদের অধিকার শুধু মহিলাদের বিষয় নয়, গণতন্ত্রের বিষয়। মেয়েদের হুমকি দিয়ে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা চলছে। একদিকে এসআইআর দিয়ে তা করার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। আরেকদিকে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস ভয়-ভীতির আবহ তৈরি করে সেই চেষ্টা করছে।
কারাত বলেন, ‘ঘুষপেটিয়া’ নিয়ে বলে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরাজ্যে এসআইআর’র খসড়া তালিকায় দেখা গেলো তা অনুপ্রবেশকারী হওয়ার জন্য নয়। বাদ গিয়েছে মৃত, স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম। অনেক আগে থেকেই তা বলা হচ্ছিল।
নরেন্দ্র মোদী নদীয়ার তাহেরপুরে দূরসংযোগে ভাষণ দেন শনিবারই। কারাত বলেছেন, মতুয়া, নমঃশূদ্ররা মোদীকে জিজ্ঞেস করছেন ভোটাধিকার নিয়ে। তখন তিনি জবাব দিতে পারেননি। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। মহিলাদের অধিকারের ভোট দেওয়ার অধিকার হরণ করলে তার বিরুদ্ধে বুথে বুথে সংগঠিত হয়ে মোদী-মমতার চক্রান্ত ভেঙে দিতে হবে।
কারাত বলেন, সমানাধিকারের ওপর হামলা চালাচ্ছে পুঁজিবাদীরা। উদারীকরণের নীতির জন্যে ২৭২ জন বিপুল ধনীর কাছে ৪০ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। সংবিধানে বলা আছে সমানাধিকারের কথা। তাঁকে তছনছ করছে মোদী সরকার। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজ নেই। বামপন্থীরা যখন মজবুত ছিলো আমরা মানুষের জন্য লড়েছি। কোনো বিপিএল-এপিএল নয়। মনরেগায় নিয়ম ছিল আমরা যখন কাজ চাইব তখনই কাজ পাব। মমতার সরকার দুর্নীতি করে এই মনরেগাকে শেষ করতে সাহায্য করেছে। বিজেপি যা চেয়েছিল তাকে সমর্থন করেছে তৃণমূলের কার্যকলাপ।
কারাত বলেছেন, মাইক্রোফাইনান্সকে ‘মাইক্রো লুটে‘ পরিণত করেছ বিজেপি।
দেশ এবং বাংলার মেয়েদের মৃত্যুর ফাঁদে ফেলে দিচ্ছে। মমতা চলছেন মোদীর পথে। সে কারণেই পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের এই হাল হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জির সৌজন্যেই সাম্প্রদায়িক আরএসএস বাংলায় পা রাখতে পেরেছে।
কারাত বলেন, মোদী বাংলায় এসে জঙ্গলরাজের কথা বলছেন। উনি যে আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চালান তাকে কী বলবেন। ২০২৬-এ নির্বাচন আছে বলে মোদী এখন বারবার হেলিকপ্টার উড়িয়ে বাঙালি আসছেন। আর যখন তিলোত্তমার বাবা-মা মোদী- শাহর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তার সময় আজ অব্দি হয়নি। কারাত বলেন, কোনো মেয়েকে যখন ধর্ষণ করা হয় তখন আরএসএস-বিজেপি মেয়েটির পোশাক নিয়ে কথা বলতে ব্যস্ত থাকে। আর পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জি চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ধর্ষকদের বাঁচাতে সবচেয়ে ব্যস্ত মমতা ব্যানার্জির সরকার। মহিলাদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তাদের কতজনকে শাস্তি দিয়েছে এই দুই সরকার? মাত্র ৩ শতাংশের শাস্তি হয়েছে। এই বিষয়ে দেশে সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড মমতা ব্যানার্জি সরকারের। তাই ধর্ষকরা ছাতি ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
Comments :0