SFI CU

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিকল্প ক্লাসরুম’ এসএফআইয়ের

রাজ্য কলকাতা

লকডাউনের সময় বিকল্প ক্লাসরুম চালু করেছিল এসএফআই। এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এমনই একটি নতুন উদ্যোগ দেখা গেলো ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে। উদ্যোক্তা এসএফআই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কমিটি। 

সেমিস্টারে ছয়মাসের সিলেবাস তিনমাসের কমে কোন রকমে পড়িয়েই পরীক্ষা। টপিক গুচ্ছ গুচ্ছ, পর্যাপ্ত টিচার নেই। 'ডায়লগ' নেই, আছে শুধু মোনোলগ...  বুঝলে ভালো, না বুঝলে ব্যাকলগ। মানুষ নয়, মেশিন তৈরির খেলা চলছে।

এই পরিস্থিতিতে কলকতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই বলছে, সেমিস্টারের আগে সমস্ত ক্লাসরুম থেকে ক্লাসরুমে ছাত্রদের সাথে আড্ডার ছলে গ্রুপ স্টাডি কিংবা কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা সংগঠিত করার উদ্যোগ। 

কারা করছেন? কোন শিক্ষক, শিক্ষিকা? না। সিনিয়ররা নিচ্ছেন। আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক মাল্যবান গাঙ্গলির কথায়, ‘‘সিনিয়র ব্যাচের মেধাবী ছাত্ররা জুনিয়র ব্যাচে যাক, অল্টারনেটিভ ক্লাসরুম তৈরি হোক। সেমের আগে সমস্ত রকম কনফিউশন ক্লিয়ার হোক ছাত্রদের।’’ 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে ফিডব্যাক ক্লাসের পাঠ চুকেছে বহুদিন। একাধিক বিভাগে খালি রয়েছে অধ্যাপক পদ। এক একজন অধ্যাপকদের দুটো এমনকি তিনটে করে পেপার পড়াতে হচ্ছে। আলাদা করে পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধানের কোন উপায় নেই তাদের। তাও তার মধ্যে যতটা সম্ভব হয় তারা করছেন।

এই পরিস্থিতিতে এসএফআইয়ের এই উদ্যোগ অধ্যাপকরা সামনা সামনি প্রশংসা না করলেও ঘনিষ্ট মহলে করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিপুর ক্যাম্পাসের এক অধ্যাপকের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘‘আমরা আমাদের বন্ধুদের এমন ভাবে মাঝে মধ্যে বোঝাতাম। আমি না বুঝলে ওরাও বুঝিয়ে দিত। এটা চলতো। কিন্তু এই ভাবে কোন ছাত্র সংগঠন একটা সংগঠিত উপায় নেমে কাজ করছে এটা দেখা যায়নি। সত্যি দেখে আজ ভালো লাগছে।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নেই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ গায়ের জোড়ে ইউনিয়ন রুম দখল করে রেখেছে। মাল্যবানের কথায়, ‘‘একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ইউনিয়ন রুম দখল করে বসে থাকে তোলাবাজির জন্য। ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যার কথা তারা জানেই না। এসএফআই সবার জন্য শিক্ষার দাবিতে পথে নামে। এক দায়িত্বশীল ছাত্র সংগঠন হিসাবে আমাদের যেই কাজ আমরা তাই করছি।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment