কল্যাণীর স্টেডিয়ামে শনিবারের ডার্বি সাক্ষী থাকল বেশ অনেক কিছুরই। কল্যাণী শিল্পাঞ্চল স্টেশন থেকে স্টেডিয়ামে ঢোকার প্রবেশ পথ ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল দুই দলের সমর্থকদের জন্য। ঝামেলা এড়াতে অভিনব এই ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন। এছাড়াও সমর্থকদের কথা ভেবেই স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যাবস্থা করা হয়েছিল জলের বোতল, ব্যাগ রাখার । সবমিলিয়ে বেশ সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়েছিল এই হাই ভোল্টেজ ম্যাচের। মাঠের বাইরের মতন মাঠের ভিতরেও খেলা হল বেশ আকর্ষণীয়। ডার্বি ম্যাচের আসল স্নিগ্ধতাই যেন ধরা পড়ল ম্যাচে। প্রথমার্ধের ৯ ও ৫০ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করেন জেসিন টিকে ও সায়ন ব্যানার্জি। সংঘবদ্ধ ফুটবলে প্রথমার্ধে মন জয় করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিট মাঠে ফুল ফোটাল সবুজ মেরুন। ৫৪ ও ৬৬ মিনিটে গোল শোধ দেন লেওয়ান ও কিয়ান নাসিরি। দিনের সেরা গোলটি এল কিয়ানের মাথা থেকে। হেডে গোল করেন জামশিদ পুত্র। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে মোট ৪ গোল করে ফেললেন কিয়ান নাসিরি। ২০২১ সালে আইএসএল ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কিয়ান। তবে এই সমতা খুব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মোহনবাগান। ৬৮ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এডমান্ড। ৩-২ গোলে ম্যাচ জেতে ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের ডার্বিতে এই নিয়ে মোট ৫৭ বার জিতল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের জয়ের সংখ্যা সেখানে মাত্র ৪৭ ।
ম্যাচ শেষে মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজো বলেন ' আমরা অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। দলের খেলায় আমি খুশি। তরুণ খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পেয়েছে । এই ফললাফলে আমরা কেউ চিন্তিত নই। প্লেয়ার, ম্যানেজমেন্ট, অফিসিয়াল সবাই খুব খুশি। আমরা খুব কম সময় প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছিলাম '।
অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ ডার্বি জিতে দলের খেলায় বেশ আপ্লুত। তিনি বলেন ' ওরাও ওদের বেশ কিছু সিনিয়র প্লেয়ারদের খেলিয়েছিল। আমরাও তাইই করেছি । প্রত্যেকটা কোচের প্রত্যেকটা ম্যাচের জন্যই আলাদা করে প্ল্যান থাকে। এই ম্যাচের জন্যও আমাদের আলাদা করে প্ল্যান ছিল। সেই প্ল্যানে আমরা সফল ' ।
Comments :0