যুবভারতীতে প্রথমার্ধের শেষে খেলার ফল ছিল ০-০ । প্রথমার্ধে ম্যাচে প্রাধান্য নিয়েই খেলছিল লাল হলুদ। মাঝমাঠের রাশ নিজের হাতেই রাখছেন রশিদ। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে পোস্ট ভাগ্যে আপাতত গোলদুর্গ অক্ষত রয়েছে নামধারীর। ম্যাচের ১৬ মিনিটে বিপিনের সেন্টার থেকে গোললাইন সেভ দেন নামধারি এফসির ডিফেন্ডার। ১৭ মিনিটে রশিদের দূরপাল্লার শট সেভ করে দেন নীরজ কুমার। ২১ মিনিটে মাঝমাঠের মিগুয়েলের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ২২ মিনিটে রশিদের পাস থেকে মিগুয়েলের হেডটি ফের একবার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৩৯ মিনিটে দিয়ামেন্টেকোসের শট সেভ করেন নামধারীর গোলরক্ষক নীরজ। ৪২ মিনিটে কর্নার থেকে দারুণ দক্ষতায় হেড করলেও ফের একবার পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
গোল পেতে অপেক্ষা করতে হল দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিট পর্যন্ত । মিগুয়েলের কর্নার থেকে হেডে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন পরিবর্ত হিসেবে নামা নতুন বিদেশী মরোক্কান হামিদ। নামধারীর গোলরক্ষক নীরজ বলের ফ্লাইট মিস করলে সেই বল থেকে হেড করে দলকে এগিয়ে দেন হামিদ। নিজের অভিষেক ম্যাচেই গোল করে দলের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ওঠার জানান দেন হামিদ। ম্যাচের ৮৯ মিনিট নাগাদ আরো একটি সুযোগ পেলেও সেখান থেকে ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন হামিদ। বক্সের মধ্যে প্রায় ৩ জনকে কাটিয়ে সুন্দর পাস দেন এডমান্ড। পর পর দুইম্যাচ জিতে ডুরান্ড কাপের শেষ আট অর্থাৎ কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। তবে বুধবারের ম্যাচে অসংখ্য গোল মিসের স্বভাব না কাটাতে পারলে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে পরীক্ষার মুখে পড়তে হতে পারে ইস্টবেঙ্গলকে।
Comments :0