জানা অজানা — নতুনপাতা, কবিপক্ষ - বর্ষ ৩
মাসাইমারা
তপন কুমার বৈরাগ্য
পৃথিবীর একমাত্র সেরা ন্যাশনাল পার্ক মাসাইমারা। এটি আফ্রিকার কেনিয়ায়
অবস্থিত।১৯৭৪খ্রিস্টাব্দ থেকে জাতীয় সংরক্ষণাগারের মর্যাদা পায়। এই পার্কে
কি না নেই।আছে ক্ষুধার্ত সিংহ,চিতা,লেপার্ড,বুনো কুকুর,হাতী,হরিণ,বুনো ভাল্লুক,
হায়না ,গন্ডার,অদ্ভূত মহিষ,আফ্রিকান সাদা সিংহ।আর আছে অসংখ্য লম্বা গলাওয়ালা
জিরাফ।এতো লম্বা জিরাফ আর পৃথিবীতে কোথাও দেখা যায় না।এখানে একশোর
উপর প্রজাতির পাখি দেখা যায়।যেগুলো আকার আকৃতি সৌন্দর্য কন্ঠস্বরে বিশ্বের
সেরা প্রজাতির পাখি।মাসাইমারা মানে মইয়ে উঠে হাত বাড়িয়ে দুটো তারা পেড়ে
আনা। কেন এই কথা বলা হচ্ছে তার কারণ আছে। মাসাইমারা ন্যাশনাল পার্কটি
ভূমি থেকে ৪৯০০ফুট থেকে ৭২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।মনে হবে যেন আকাশের
কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।আফ্রিকা মহাদেশের অধিকাংশ দেশেই তাপমাত্রা বেশি থাকে।
কিন্তু মাসাইমারের জলবায়ু খুবই মনোরম। এখানে তাই হাজারের উপর প্রজাতির
স্তন্যপায়ী প্রাণী আছ। প্রায় কুড়ি কিলোমিটার বিস্তৃত এই পার্ক।এখানে আছে বন্যপ্রাণীদের
উপভোগ্য সুন্দর পরিবেশ। সম্পূর্ণ বন্য পরিবেশের উপর ভিত্তি করে এই পার্ক গড়ে উঠেছে।
এই ন্যাশনাল পার্কের বাইরেও আছে বিচিত্র প্রাণীদের জন্য উন্মুক্ত বনভূমি।
এই উন্মুক্ত বনভূমির মধ্যে আছে মারা নদী।যে নদীতে থাকে কুমীর এবং জলহস্তী।
এখানকার কুমীর পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কুমিরের চেয়ে আকারে দ্বিগুণ বড়।
খোলা বনেও নানা ধরনের সাপ থেকে বিচিত্র ধরনের সব পশুপাখী আছে। দেখলে নয়ন
ভরে যায়।উন্মুক্ত বনে না ঘোরাই ভালো।কারণ যে কোনো মূহূর্তে হিংস্র পশু দ্বারা
আক্রান্ত হতে পারে। ন্যাশনাল পার্ক থেকে চাঁদকে অনেক অনেক বড় দেখা যায়।
এখানে নেই কোনো দূষণ।
ঝকঝকে, তকতকে ,মনোরম ,এক চির বসন্তের জায়গা এই মাসাইমারা।তাই মাসাইমারাতে
পর্যটকদের আসার সংখ্যাও দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এখানে এলে দারুণ এক অ্যাডভেঞ্চারের সাক্ষী হয়ে থাকা যায়।
Comments :0