Rally in Amdanga

১৩ দফা দাবিতে আমডাঙায় বামফ্রন্টের বিক্ষোভ, ডেপুটেশন

জেলা

১৩ দফা দাবিতে আমডাঙায় মিছিল।

আমডাঙার ১২নং জাতীয় সড়ক যা আমডাঙার রাজবেরিয়া থেকে সন্তোষপুর পর্যন্ত ২১টি মৌজার প্রায় ১৪ হাজার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের ক্ষতিপুরণের দাবিতে মঙ্গলবার কয়েকহাজার মানুষদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। এদিনের আমডাঙা বামফ্রন্টের মিছিল কামদেবপুর হাট থেকে শুরু হয়ে জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বিডিও অফিসের সামনে শেষ হয়েছে। জমিহারাদের ক্ষতিপুরণ, সংবিধান বিরোধী ওয়াকফ আইন, স্মার্ট মিটার বাতিল সহ ১৩ দফা দাবিতে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিডিওকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। মিছিল শেষে বিডিও অফিসের সামনে বামফ্রন্টের প্রতিবাদ সভা হয়েছে। 
এদিন কামদেবপুর হাট থেকে শুরু হওয়া মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য শতরুপ ঘোষ, আহমেদআলি খান, সাহারাব মন্ডল সিপিআই রাজ্য নেতা সৈকত গিরি সহ বামফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। এদিন আমডাঙা বিডি ও অফিসের সামনে শতরুপ ঘোষ বলেন, বাংলায় ওয়াকফ সম্পত্তি তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, সিদিকুল্লা চৌধুরী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো নেতারা দখল করে সেখানে বিলাশবহুল বাড়ি, রিসর্ট বানিয়েছে। কোটি কোটি টাকার ওয়াকফ সম্পত্তি তারা ভোগ করছেন। আর মমতা ব্যানার্জি ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয় নিয়ে ফরমান জারি করেছেন কলকাতায় কোন প্রতিবাদ কর্মসূচি করা যাবে না। দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদ করুন। নোট বাতিল, তাহলে ১০০ দিনের কাজ, সিএ, এনআরসি  নিয়ে কেন দিল্লিতে না গিয়ে কলকাতায় প্রতিবাদ করছেন। আসলে মমতা ব্যানার্জি মোদীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চান না। ওয়াকফ নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যে আন্দোলন হচ্ছে আর বাংলায় করা যাবে না কেন? কারণ আন্দোলন গড়ে উঠলে এই রাজ্যে কারা ওয়াকফ সম্পত্তি ভোগ করছেন তা বেরিয়ে এলে তার ভোট ব্যাঙ্কের ক্ষতি হবে।  
তিনি মমতা ব্যানার্জির উদ্দ্যেশে বলেন, যদি কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের টাকা অন্যায়ভাবে আটকে রাখে তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না কেন? সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাজাহানের জন্য কোটি টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্টি যেতে পারেন আর ১০০ দিনের কাজের জন্য পারেন না। আসলে মমতা ব্যানার্জি চাননা। উনি যদি সত্যি টাকা চাইতেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টে কেস করতেন। আমাদের দাবি আপনি কেস করুন, এই কেস লড়তে আপনার এক পয়সাও খরচ হবে না। এই কেস রাজ্যের গরিব মানুষের স্বার্থে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বিনা পয়সায় লড়বেন।
এদিন সৈকত গিরি বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠলে মানুষ তৃণমূল নেতাদের কাঠগোড়ায় তুলবে। তাই মমতা পিছিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের পুনর্বাসন আইনে জাতীয় সড়ক থেকে যাদের উচ্ছেদ করা হয়েছ তাদের ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। জমির আন্দোলনের ঝাঁঝকে অতীতে বামফন্টের আমলের মতো ফিরিয়ে আনতে হবে। ২০০৭ সালের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপুরণ নয়। ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। তিনি বলেন ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে তৃণমূল সভা মিছিল করে না। কিন্তু আগামীদিনে যে ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে তা ভন্ডুল করতে রাজ্যে পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হবে। এদিন আহমেদআলি খান বলেন, দেশের মানুষের স্বার্থে নয় আদানী আমবানীদের স্বার্থে নরেন্দ্র মোদী দেশ পরিচালনা করছেন।

Comments :0

Login to leave a comment