গত সোমবার লন্ডনের ওভাল স্টেডিয়ামে মিরাকেল ঘটিয়েছে ভারত। ৭রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ইংল্যান্ডের থেকে। ড্র হয়েছিল সিরিজ। সেই ম্যাচের নায়ক মহম্মদ সিরাজ। এই সিরিজে মোট ২৩ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ। সিংহহৃদয় বিক্রমেই নিজের পারফরম্যান্সকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন সিরাজ। শেষদিনে ৩৫রান ডিফেন্ড করেই সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত। যে বলটিতে গাস এটকিন্সন আউট হলেন। সেটি ছিল সিরাজের এই সিরিজের পঞ্চম দ্রুততম ডেলিভারি। সিরাজের রাজকীয় পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার বলেছেন ' সবসময় বলা হয় বোলারার ম্যাচ জেতায়। কিন্তু তার জন্য সবসময়ই একটু বেশি রানও করতে হয়। তবে ভারত খুব বেশি রান করতে না পারায় গত দুইটি ম্যাচ হেরেছিল। কিন্তু এই ম্যাচে সিরাজ নিজের সর্বস্ব দিয়ে বোলিং করায় এই মিথকে মিথ্যা প্রমান করে দিয়েছে। এছাড়াও তিনি আরো যুক্ত করেছেন ' আমার মনে হয় ভারতীয় ক্রিকেটের ডিকশনারি থেকে কর্মভার শব্দটির অর্থই হয়তো বদলে যেতে পারে। কারণ অধিনায়ক গিল সিরাজকে দিয়ে প্রায় টানা ৬-৭ওভার বল করিয়েছেন। তবে এতে ক্লান্ত না হয়েও সিরাজ দক্ষতার সাথেই বল করে গেছেন । তাই সবাই যেন একটা কথা মনে রাখে কর্মভার যতটা না শারীরিক তার থেকেও বেশি মানসিক '।
সোমবার সিরাজ পঞ্চম উইকেট নেওয়ার সাথে সাথে স্পর্শ করেন জসপ্রিত বুমরার রেকর্ডও। এই সিরিজে মোট ২৩উইকেট নেওয়ায় ২০২১-২২ মরশুমের ইংল্যান্ড সিরিজে বুমরার ২৩উইকেটের সঙ্গে সমসাময়িক হয়ে গেলেন সিরাজ। এই বিষয়ে সিরাজ জানিয়েছিলেন ' বুমরা এই ম্যাচে সঙ্গে থাকলে খুব ভালো হত । ওকে আমি খুব মিস করেছিলাম '। সিরাজের মুকুটে সোমবার আরো এক পালক যুক্ত হয়েছে । ১৯৮৪সালের পর প্রথম বিদেশী বোলার হিসেবে ওভালের মাঠে ফাইফার ( এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট ) নিলেন সিরাজ। ১৯৮৪তে কিংবদন্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জামাইকান বোলার মাইকেল হোল্ডিং ৫উইকেট নিয়েছিলেন এই ঐতিহাসিক ওভালে।
Comments :0