মণ্ডা মিঠাই
পরিবেশ ও আমরা
রুপম মাইতি
নতুনপাতা
আমাদের আসেপাশে আমরা যা দেখতে পাই সেটাই পরিবেশ। গাছপালা, পশুপাখি, ঘরবাড়ি সবকিছুই পরিবেশের অন্তর্গত। পরিবেশ আছে বলেই আজ আমাদের পৃথিবী হয়ে উঠেছে বসবাসের যোগ্য। কিন্তু আমাদেরই কিছু কাজকর্মের ফলে আজ ধীরে ধীরে এই পরিবেশ এই প্রকৃতি হচ্ছে ক্ষতবিক্ষত।
পৃথিবী ধ্বংসের অন্যতম কারণ হল বিশ্বউষ্ণায়ন। বিশ্বউষ্ণায়ন এর জন্য দায়ী আমরা। আমাদের নানান কার্যকলাপের ফলস্বরূপ ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে পৃথিবীর উষ্ণতা। আমাদের ব্যবহৃত ফ্রিজ, এসি প্রভৃতি থেকে নির্গত CFC এর সাথে ওজোন স্তরের অক্সিজেন বিক্রিয়া করায় পাতলা হচ্ছে ওজোন স্তর। ফলে সূর্য থেতে আগত অতিবেগুনি রশ্মি ওজোন স্তরে শোষিত না হয়ে সরাসরি আপতিত হচ্ছে পৃথিবী পৃষ্ঠে। ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়েই চলেছে। ফলে মেরু অঞলের বরফ গলছে। বহু মেরু দেশীয় প্রাণীর অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বহু দ্বীপ আজ জলের তলায়।
পৃথিবী ধ্বংস করতে অন্যতম যে জিনিসটা দায়ী সেটা হল পরিবেশ দূষন। পরিবেশ দূষন মূলত তিন প্রকার। যথা:- বায়ুদূষন, শব্দদূষন, জলদূষন। অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হল বায়ুদূষনের কারণ। অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে বাতাসে কার্বন ডাইক্সাইড এর মতো বিষাক্ত গ্যাস বায়ুতে মেশে যা বায়ুদূষনের প্রধান কারণ। শব্দদূষনের কারণ হল জোরালো মাইক্রোফোনের ব্যবহাক, শব্দবাজী, অপ্রয়োজনীয় গাড়ি হর্ন বাজানো প্রভৃতি। জলদূষনের কারণ হল কলকারখানার বিষাক্ত জল, কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার প্রভৃতি।
পরিবেশকে ধ্বংস করায় যেমন আমাদের হাত আছে তেমনই তাকে রক্ষা করতে আমাদের কয়েক পদক্ষেপই যথেষ্ট। আমাদের উচিত গাছ কাটা বন্ধ করে তার বদলে অতিরিক্ত পরিমান গাছ লাগানো। রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে, বাড়ির ছাদে সব জায়গায় গাছ লাগানো। ছোটো ছোটো বনাঞ্চল তৈরি করা। আমাদের উচিত নিজস্ব গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহন ব্যবহার করা। কলকারাখানার দূষিত জল পরিস্রুত করে তারপর নদীতে ফেলা। কৃষিক্ষেত্রে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা। এছাড়াও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
পরিবেশকে রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য। আমাদের উচিৎ নিজের থেকে এগিয়ে আসা। তাহলেই পরিবেশ ও প্রকৃতই হয়ে উঠবে আগের মতো সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা।
দশম শ্রেণী
কল্যাননগর বিদ্যাপীঠ
খড়দহ, উত্তর চব্বিশ পরগনা
সারদাপল্লী পানশিলা
উত্তর ২৪ পরগনা
8961968392
Comments :0